শিরোনাম
◈ আওয়ামী লীগ সমর্থকদের প্রেসক্লাবের সামনে মারধর ◈ পলাতক পুলিশ সদস্যরা এখন ‘সন্ত্রাসী’ বিবেচিত হবে, দেখামাত্রই গ্রেফতার ◈ দুই মাসে দেড় বিলিয়ন ডলার দেনা পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক (ভিডিও) ◈ প্রয়োজনে সিস্টেম ভেঙে নতুন লোক বসাবো : উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ (ভিডিও) ◈ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সংলাপ: এবারও ডাক পায়নি জাপা ◈ নেতানিয়াহুর বাসভবনে ড্রোন হামলা, বেঁচে গেলেন অল্পের জন্য ◈ সিনওয়ারের মরদেহ নিয়ে ‘দর কষাকষি’ করতে চায় ইসরায়েল ◈ ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন : সাড়ে চারশ কোটি টাকার ময়লা-বাণিজ্য হাত বদল ◈ এবার ভয়ংকর সেই আয়নাঘর নিয়ে নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন ◈ নির্বাচনের সময় নিয়ে বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিলেন আসিফ নজরুল

প্রকাশিত : ০৭ জুলাই, ২০২৪, ১০:৫১ রাত
আপডেট : ০৯ অক্টোবর, ২০২৪, ০১:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

৩৩ দিন পর টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে যাতায়াত, যাচ্ছে খাদ্যপণ্য

জিয়াবুল হক, টেকনাফ: [২] অবশেষে দীর্ঘ ৩৩ দিন পর টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে যাতায়াত করছে যাত্রীবাহী ট্রলার ও স্পিডবোট। যাচ্ছে বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রিক।

[৩] রোববার (৭ জুলাই) সকালে টেকনাফ ঘাট থেকে ২টি ট্রলার সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে আর সেন্টমার্টিন থেকে যাত্রী নিয়ে ৪টি ট্রলার ও ৭টি স্পিডবোট টেকনাফের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। যা দুপুর সাড়ে ১২টায় টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপে পৌঁছায়।

[৪] সংবাদের সত্যতা নিশ্চিত করে সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, ‘মিয়ানমারের সংঘর্ষের কারণে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে নৌযান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু প্রশাসনের সহযোগিতায় বিকল্পপথে দুবার সেন্টমার্টিনে আসা-যাওয়া করে ট্রলার। পরবর্তী সাগর উত্তাল থাকার কারণে বিকল্পপথও বন্ধ হয়ে যায়। 

[৫] অবশেষে রোববার সকাল ৯টায় সেন্টমার্টিন জেটি থেকে যাত্রী নিয়ে টেকনাফের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। এরপর ৯টা ২০ মিনিট, সাড়ে ৯টা ও ৯টা ৪০ মিনিটে আরও ৩টি ট্রলার যাত্রী নিয়ে টেকনাফের উদ্দেশ্যে সেন্টমার্টিন ছেড়ে যায়। এছাড়া ৭টি স্পিডবোট টেকনাফের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। শেষ পর্যন্ত দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে দুপুর ১টার মধ্যে নিরাপদে ট্রলার ও স্পিডগুলো টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ পৌঁছেছে। যেখানে প্রায় ২৫০ জনের বেশি যাত্রী ছিল।’

[৬] চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান আরও বলেন, ‘দীর্ঘদিন পর টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে নৌযান চলাচল করছে। আগে মিয়ানমারের অভ্যন্তর হয়ে নৌযানগুলো চলাচল করত। কিন্তু মিয়ানমারের সংঘাতের কারণে এখন সাগরে জোয়ার আসলে বাংলাদেশের অভ্যন্তর হয়ে নৌযানগুলো চলাচল করছে। একই সঙ্গে প্রতিটি নৌযানে উঁচু করে জাতীয় পতাকা টাঙানো হয়েছে।’

[৭] টেকনাফ- সেন্টমার্টিন নৌরুটের স্পিডবোট সমবায় সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম বলেন, টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে স্পিডবোট চলাচল শুরু হয়েছে। শনিবারও সেন্টমার্টিন থেকে ৭টি স্পিডবোটে যাত্রী নিয়ে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ পৌঁছেছে। আর রোববার সকালেও ৭টি স্পিডবোট টেকনাফের্ সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপে এসে পৌঁছেছে। মূলত সাগরে জোয়ার আসলেই বাংলাদেশের অভ্যন্তর হয়ে নৌযানগুলো চলাচল করছে।’ এদিকে সেন্টমার্টিন থেকে ট্রলারে করে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ ঘাটে পৌঁছানো যাত্রী জুবাইর বলেন, ‘দীর্ঘদিন পর স্বাভাবিকভাবে ট্রলার করে টেকনাফ পৌঁছালাম। কোনো ধরনের সমস্যা হয়নি। অনেক খুশি লাগছে।’

[৮] এব্যাপারে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বলেন, ‘স্বাভাবিক হচ্ছে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে নৌযান চলাচল। এখন পর্যন্ত সেন্টমার্টিন থেকে যাত্রীবাহী ৪টি ট্রলার ও ৭টি স্পিডবোট টেকনাফ পৌঁছেছে। আর ২টি খাদ্যপণ্য বোঝাই ট্রলার টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে। যা বিকেল নাগাদ দ্বীপে পৌঁছেছে। আশা করি, সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে যাবে।’

[৯] উল্লেখ্য, মিয়ানমারে চলমান সংঘাতের জেরে ১ জুন বিকেলে টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে রওনা হওয়া পণ্যসহ ১০ জন যাত্রীসহ এক ট্রলারকে লক্ষ্য করে নাইক্ষ্যংদিয়া এলাকা থেকে গুলি বর্ষণ করা হয়। এছাড়া ৫ জুন সেন্টমার্টিনের স্থগিত হওয়া একটি কেন্দ্রে টেকনাফ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান পদের ফলাফল নির্ধারণের জন্য ভোট গ্রহণ হয়। আনুষ্ঠানিকতা শেষে ফেরার পথে দায়িত্বরত ম্যাজিস্ট্রেটসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা- কর্মচারীদের ট্রলারকে লক্ষ্য করে একই পয়েন্টে ফের গুলি করা হয়।

[১০] ৮ জুন আরও এক ট্রলারকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয় একই পয়েন্টে। সর্বশেষ ১১ জুন একটি স্পিডবোটকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ হয়। প্রতিটি গুলিবর্ষণের ঘটনাই বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ জলসীমায় ঘটেছে। গুলিবর্ষণের এসব ঘটনায় হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে টেকনাফ-  সেন্টমার্টিন রুটে নৌযান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে দ্বীপে খাদ্য সংকট ও জরুরি আসা-যাওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়।

[১১] ১২ জুন কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের জরুরি সভায় বঙ্গোপসাগরকে ব্যবহার করে যাত্রীদের আসা-যাওয়া ও পণ্য নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। ১৩ জুন থেকে টেকনাফের সাবরাং মুন্ডার ডেইল উপকূল ব্যবহার করে শুরু হয় যাত্রীদের আসা-যাওয়া। ১৪ জুন কক্সবাজার শহর থেকে দ্বীপে পণ্য নিয়ে যায় জাহাজ। আর বিকল্প পথ হিসেবে শাহপরীর দ্বীপ ও সেন্টমার্টিনে সীমিত পরিসরে কিছু নৌযান চালানোর সিদ্ধান্ত হয়। তবে ২২ জুনের পর থেকে সেটিও বন্ধ রয়েছে। সম্পাদনা: এ আর শাকিল

প্রতিনিধি/এআরএস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়