কায়সার হামিদ, উখিয়া: [২] প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখে প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে ভেসে আসা রোহিঙ্গা বোঝাই ট্রলারটিকে স্বদেশ মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়েছে। ট্রলারটিতে ৩১ জন রোহিঙ্গার সঙ্গে আছেন মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) দুই সদস্য।
[৩] ইঞ্জিন সচল হওয়ার পর শুক্রবার (৫ জুলাই) বিকাল ৫টার দিকে ট্রলারটি দ্বীপ থেকে মিয়ানমারের উদ্দেশে রওনা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন সেন্টমার্টিনে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডের (বিজিবি) দায়িত্বপ্রাপ্ত সুবেদার সানোয়ার হোসেন।
[৪] তিনি জানান, সমুদ্রে প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং ইঞ্জিল বিকল হওয়ার কারণে মিয়ানমারের ট্রলারটি ৩৩ জন নিয়ে দ্বীপে ভেসে এসে ভিড়েছিল। বিকালে ট্রলারটিসহ রোহিঙ্গা ও বিজিপি সদস্যদের গন্তব্যের উদ্দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
[৫] সকালে ট্রলারটি দ্বীপের উত্তর/পশ্চিম সৈকতে এসে ভিড়ে বলে জানান সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান। তিনি জানান, রোহিঙ্গা ও বিজিপি সদস্য দ্বীপের উত্তর সৈকতের একটি রিসোর্টে বিজিবি হেফাজতে রাখা হয়। ৩১ রোহিঙ্গার মধ্যে ১০ জন পুরুষ, ১০ জন নারী ও ১১ শিশু রয়েছে। সশস্ত্র বিজিপি সদস্যদের মধ্যে একজন ক্যাপ্টেন ও অন্যজন সার্জেন্ট।
[৬] রোহিঙ্গা ও বিজিপি সদস্যদের বরাতে মুজিবুর রহমান বলেন, তারা জানিয়েছেন–বৃহস্পতিবার বিকালে মিয়ানমারের মংডু শহর থেকে সমুদ্রপথে ট্রলারটি রওনা হয়। মিয়ানমারের জলসীমায় থাকা দেশটির নৌবাহিনীর জাহাজে যাওয়ার কথা ছিল তাদের। পরে নৌবাহিনীর জাহাজে করে তাদের সিটওয়ে শহরে যাওয়ার কথা। কিছুদূর আসার পর ট্রলারটির ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায়। এর মধ্যেই প্রচণ্ড বৃষ্টি ও ঝড়ের মুখে পড়ে ট্রলারটি সেন্টমার্টিনের উত্তর/পশ্চিম সৈকতে চলে আসে।
[৭] স্থানীয় সূত্র জানায়, ভোরে সেন্টমার্টিনের উত্তর গুলাচ্চরে একটি ট্রলারে লাইটের সিগন্যাল দেখতে পায় দ্বীপের স্থানীয় জেলেরা। তারা বিজিবি ও কোস্ট গার্ড সদস্যদের খবর দেন। সেন্টমার্টিন বিজিবি টহল টিম সেখানে গিয়ে সবাইকে নিজেদের হেফাজতে নেয়।
[৮] টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আদনান চৌধুরী বলেন, নতুন করে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্ত ও নাফ নদে অবস্থান জোরদার করেছে বিজিবি ও কোস্ট গার্ড। সম্পাদনা: এ আর শাকিল
প্রতিনিধি/এআরএস
আপনার মতামত লিখুন :