✖

নিজস্ব প্রতিবেদক : শিগগিরই রাজধানীর আরও ৩টি রুটে কাউন্টার ভিত্তিক ও ই-টিকিটিং সমৃদ্ধ বাস চলাচল শুরু হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. সাইফুল আলম। এতে যাত্রীদের নিরাপদ চলাচল এবং যানজট নিয়ন্ত্রণে আসার পাশাপাশি পরিবহন খাতেও শৃঙ্খলা ফিরবে বলে জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর উত্তরার আজমপুর কাঁচাবাজার (বিডিআর মার্কেট) সংলগ্ন বাসস্ট্যান্ড থেকে ঢাকা মহানগরীতে কাউন্টার ও ই-টিকিটিং পদ্ধতিতে বাস চলাচলের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে সরকার, প্রশাসন, যাত্রীসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে ঢাকা মহানগরীতে গণপরিবহন চলাচলে নানান ভোগান্তি, অনিয়ম ও দুর্ভোগের বিষয়টি সামনে এসেছে। তাই সবাই যেন স্বাচ্ছন্দ্যে চলাচল করতে পারেন এবং যানজট কমে যায় সেজন্য আমাদের এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিগত ১৬ বছর ধরে দৈনিক ভিত্তিতে বাসগুলোকে চালকদের হাতে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। যার কারণে বেশিরভাগ যানজট, বিশৃঙ্খলা, দুর্ঘটনা ও চাঁদাবাজির ঘটনা ঘটেছে। চুক্তিভিত্তিক বাস চালানো বাংলাদেশের কোনো আইনের সঙ্গেও সঙ্গতিপূর্ণ ছিল না। এসব কারণেই চালকরা যত্রতত্র গাড়ি দাঁড় করাচ্ছে এবং অসম প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছে।

তিনি বলেন, সেজন্য সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এখন থেকে আর কোনো গাড়ি এমন চুক্তিভিত্তিক চলবে না বরং টিকিট কেটেই যাত্রীদের বাসে উঠতে হবে। ঢাকা মহানগরীর সবগুলো গাড়িকে ৪টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এরমধ্যে প্রথম ভাগে গোলাপি রংয়ের বাস আব্দুল্লাহপুর থেকে বিভিন্ন এলাকায় যাবে। খুব শিগগিরই মোহাম্মদপুর, মিরপুর, গাবতলী রোডে চলাচলকারী বাসগুলোকেও ৩টি রংয়ে বিভক্ত করে চলানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। 

তিনি বলেন, এটি বাস্তবায়িত হলে পরিবহন খাত শৃঙ্খলার মধ্যে ফিরে আসবে। যদি কেউ কোনো ব্যত্যয় ঘটাতে চায় তাহলে সমিতির অভিযোগ নম্বরে যোগাযোগ করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা ২টি বিষয়কে সামনে রেখে এই পদ্ধতি চালু করছি। আশা করি, এরমধ্য দিয়ে যানজট কমানো যাবে এবং যানবাহন চলাচল শৃঙ্খলার মধ্যে চলে আসবে।

এ সময় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির খান বলেন, ঢাকায় পরিবহন খাতের শৃঙ্খলা ফেরাতে এবং যানজট মুক্ত করতে সরকার ও পুলিশের ঊর্ধতন কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় এই কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আমরা দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে সম্মিলিতভাবে দেশের পরিবহন খাতের শৃঙ্খলা ফেরাতে চেষ্টা করছি। তবে এককভাবে এই বৃহত্তর কাজটি করা সম্ভব নয়। সেজন্য যাত্রী ও পুলিশের সহযোগিতা প্রয়োজন। আমাদের জায়গা থেকে মালিক-শ্রমিকসহ সংশ্লিষ্ট সবাই এই কার্যক্রম সফল করতে বদ্ধ পরিকর।