শিরোনাম
◈ সিনওয়ারের মরদেহ নিয়ে ‘দর কষাকষি’ করতে চায় ইসরায়েল ◈ ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন : সাড়ে চারশ কোটি টাকার ময়লা-বাণিজ্য হাত বদল ◈ এবার ভয়ংকর সেই আয়নাঘর নিয়ে নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন ◈ নির্বাচনের সময় নিয়ে বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিলেন আসিফ নজরুল ◈ পরীক্ষা দিতে এসে আটক রাবি ছাত্রলীগের ২ নেতা ◈ বিশ্বের ১১০ কোটি তীব্র দরিদ্র মানুষের মধ্যে প্রায় ২৫ কোটি থাকেন ভারতেই!  ◈ দ্বিতীয় বিয়ে করতে যাওয়ার পথে বরের ওপর সাবেক স্ত্রীর হামলা ◈ এবার শাহবাগে বিক্ষোভ করছে আউটসোর্সিং কর্মচারীরা : চাকরি জাতীয়করণের দাবি ◈ স্পিন বোলিং কোচ মুশতাক আহমেদ আবার ফিরেছেন বাংলাদেশ দলে ◈ দক্ষিণখানে পুলিশের পোশাক,নকল পিস্তলসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

প্রকাশিত : ১৩ জুলাই, ২০২৪, ১২:৩৩ দুপুর
আপডেট : ১৪ অক্টোবর, ২০২৪, ০৮:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সালথায় সড়ক ধসে ১১ গ্রামের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন, ভোগান্তিতে ২০ হাজার মানুষ

ফরিদপুর প্রতিনিধি: [২] ফরিদপুরের সালথার আটঘর ইউনিয়নের খোয়াড় গ্রামের চলাচলের পিচঢালা প্রধান সড়ক ধসে ১১ গ্রামের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এতে এসব গ্রামের অন্তত ২০ হাজার মানুষের ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে।

[৩] স্থানীয়রা জানান, আটঘর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের খোয়াড় গ্রাম। যে গ্রামের ৯৫ শতাংশ মানুষ কৃষির উপর নির্ভরশীল। এ গ্রাম ছাড়াও আশেপাশের কয়েক গ্রামের কৃষিপন্য এ সড়ক দিয়েই আশেপাশের হাট-বাজারে আনা-নেওয়া করা হয়। এছাড়া জমির ফসলও কৃষকরা এ সড়ক দিয়েই বাড়িতে আনেন। কিন্তু, হঠাৎ কয়েকদিনের প্রবল বৃষ্টিতে পিচঢালা এ প্রধান সড়ক ধসে যোগাযোগ সম্পন্ন বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এতে খোয়াড় গ্রামসহ পার্শ্ববর্তী গোয়ালপাড়া, খাগইড়, গোবিন্দপুর, সেনহাঁটি, গৌড়দিয়া, সিংহপ্রতাপ, বালিয়া, গট্টি, ভাবুকদিয়া ও ঠেনঠেনিয়া গ্রামের অন্তত ২০ হাজার মানুষের চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে। এতে ভোগান্তির সীমা নেই যেন তাদের। 

[৪] শনিবার (১৩ জুলাই) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গট্টি ইউনিয়নের ঠেনঠেনিয়া বাজার থেকে আটঘর ইউনিয়নের খোয়াড় গ্রাম হয়ে গৌড়দিয়া বাজারে মিশে গিয়েছে পিচঢালা এ প্রধান সড়কটি। এ সড়কের খোয়াড় গ্রামের মাঝবর্তী ছালাম মেম্বার ও আরশাদ মাতুব্বরের বাড়ির মাঝামাঝি জায়গায় এ সড়কটি ধসে পড়েছে। কয়েকদিনের প্রবল বৃষ্টিতে সড়কটির পিচসহ মাটি ধসে পাশের ডোবায় গিয়ে মিশেছে। তৈরি হয়েছে বিশাল আকারের গর্ত। ধীরে ধীরে আশেপাশের বাড়ি-ঘরও ভেঙে ডোবায় মিশে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। এছাড়াও সড়কটির একই গ্রামের বিল্লাল মাতুব্বর ও ছাত্তার মাতুব্বরের বাড়ির সামনেও ধস শুরু হয়েছে।

[৫] এব্যাপারে খোয়াড় গ্রামের সামচেল ফকির, ওমর আলী, জব্বার মাতুব্বর ও মোজাফ্ফার মাতুব্বর বলেন, আমাদের চলাচলের প্রধান সড়কটি কয়েকদিনের প্রবল বৃষ্টিতে ধসে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এতে আমরা ভোগান্তিতে পড়েছি। পার্শ্ববর্তী ১১ গ্রামের অন্তত ২০ হাজার মানুষও এ ভোগান্তির শিকার। আমরা অতিশ্রীঘ্রই এ সড়কের মেরামত দাবি করছি।

[৬] এব্যাপারে আটঘর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) শহিদুল হাসান খান সোহাগ বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। খোঁজ নিয়ে দেখবো।

[৭] সালথা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ওয়াদুদ মাতুব্বর বলেন, খোয়াড় গ্রামের কয়েকজন আমাকে সড়কটির বিষয়ে জানিয়েছেন। সড়কটি মেরামতের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হবে।

[৮] এব্যাপারে বক্তব্য জানতে সালথা উপজেলা প্রকৌশলী আবু জাফর মিয়ার অফিসে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। পরে তার মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও মুঠোফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। 

[৯] সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আনিছুর রহমান বালী বলেন, আমরা ধসে যাওয়া ওই সড়কের কয়েকটা ছবি মোবাইল ক্যামেরায় দেখেছি। তবে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখে অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে ধসে যাওয়া সড়কটি মেরামতে ব্যবস্থা নিব।

প্রতিনিধি/একে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়