শিরোনাম
◈ ভারতের সঙ্গে কাশ্মীর নিয়ে দ্বন্দ্বের প্রসঙ্গ বাংলাদেশের কাছে তুলল পাকিস্তান ◈ মেরে না ফেলা পর্যন্ত ভারত, ‘র’ আর আ.লীগের বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত থাকবে: হাসনাত আবদুল্লাহ ◈ ‘চীন সরকারের হাসপাতাল নীলফামারীতে হবে’ ◈ বাংলাদেশ ভ্রমণে মার্কিন নাগরিকদের জন্য সতর্কতা ◈ বাসাবাড়িতে নতুন গ্যাস সংযোগ নিয়ে তিতাসের সতর্কবার্তা ◈ দেশের বাজারে আবার বাড়লো স্বর্ণের দাম, দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ◈ প্রশাসন কার পক্ষে,পাল্টাপাল্টি অভিযোগে এনসিপি - বিএনপি ◈ প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের বেতনস্কেলের প্রস্তাব বাস্তবায়নে কাজ চলছে: গণশিক্ষা উপদেষ্টা ◈ জাতীয় সংসদের আসন ৬০০ করার সুপারিশ নারী সংস্কার কমিশনের ◈ ১১ ওভারের মধ্যে জিতেও বিদায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের, বিশ্বকাপে বাংলাদেশ

প্রকাশিত : ১২ মার্চ, ২০২৫, ১১:১০ রাত
আপডেট : ১৮ এপ্রিল, ২০২৫, ০১:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পুলিশের কাছ থেকে নানকের সহযোগীকে ছিনিয়ে নিল স্থানীয়রা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগে নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানকের অন্যতম সহযোগী ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ৫ মামলার আসামিকে গ্রেপ্তারের পরে পুলিশের কাছ থেকে আসামিকে ছিনিয়ে নিয়েছে স্থানীয়রা। এ সময় ধস্তাধস্তিতে পুলিশের কয়েকজন সদস্য আহত হয়েছেন। খবর: কালের কণ্ঠ।

বুধবার (১২ মার্চ) সকাল ১১টার দিকে লালমাটিয়ার বি-ব্লকের ৭ নম্বর রোড থেকে গোলাম মোস্তফা নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার পর এ ঘটনা ঘটে। 

স্থানীয়দের দাবি, গোলাম মোস্তফা আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানকের অন্যতম সহযোগী।

জুলাই আন্দোলনের সময় তিনি নানককে ২৫ লাখ টাকা দিয়েছেন। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যার অভিযোগে ৫টি মামলা আছে। মামলাগুলো হলো মোহাম্মদপুর থানায় মামলা নম্বর-৬৯, রামপুরা থানায় মামলা নম্বর-১৮, বাড্ডা থানায় মামলা নম্বর-১৬, ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা নম্বর-১৬ ও চকবাজার থানায় মামলা নম্বর- ৫৬।

 প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রথমে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে এক হাতে হাতকড়া পরান।

এ সময় পাশে থাকা সিকিউরিটি গার্ডসহ আওয়ামী লীগের অন্তত একডজন লোক পুলিশের ওপর হামলে পড়ে। তারা আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে নিরপদ স্থানে নিয়ে যায়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে তাদের বেশ ধস্তাধস্তি হয়।

এ বিষয়ে সিকিউরিটি গার্ডরা জানান, ‘স্যার (গোলাম মোস্তফা) আমাদের স্কুলের (এভেরোজ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল) মালিক।

তিনি স্কুল থেকে বেরিয়ে গাড়িতে ওঠার সময় হঠাৎ করেই পুলিশ তাকে আটক করে। পুলিশের কাছে ওয়ারেন্ট আছে কি না জানতে চাইলে তারা মোবাইলের ছবিতে কাগজ দেখান। সঙ্গে গ্রেপ্তারের কাগজ না থাকায় আমরা স্যারকে নিয়ে স্কুলের ভেতর রেখে আসি। এ নিয়ে পুলিশের সঙ্গে কিছুটা ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। 

 মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী ইফতেখার হাসান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যা মামলার আসামির অবস্থান জানতে পেরে সকালে একটি টিম হঠাৎ করে সেখানে যায়।

তখন আসামিকে গ্রেপ্তার করতে গেলে আসামির প্রতিষ্ঠানের লোকজন একটি মানব দেয়াল তৈরি করে তাকে নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যায়। এ ঘটনাটি আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব, তা ছাড়া আসামিকে গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’

তেজগাঁও বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) জুয়েল রানা বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকে ঘিরে পাঁচটি হত্যা মামলার আসামিকে গ্রেপ্তারের সময় দলবল নিয়ে বাধা দেয় আওয়ামী লীগের দোসররা। মব সৃষ্টি করে আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়ার বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছি। খুব শিগগির আসামিসহ জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়