রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে মেলার টেন্ডারবাজিকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন। খবর: বাংলাট্রিবিউন।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) রাত সাড়ে ১০টার দিকে কামরাঙ্গীরচর কালুরঘাট এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কামরাঙ্গীরচরের একটি মেলার টেন্ডার ও আয়োজন নিয়ে বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনির চেয়ারম্যান এবং থানার স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মো. আলমের গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলছিল। এর জের ধরে মঙ্গলবার রাতে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়, যেখানে গোলাগুলি ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় এক বিএনপি নেতা (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) বলেন, মো. আলম টেন্ডার পাওয়ার পর থেকে মনির চেয়ারম্যান তা জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা করছিলেন এবং একাধিকবার হুমকি দিয়ে আসছিল। মঙ্গলবার রাতে মনির চেয়ারম্যানের সমর্থকরা অস্ত্রশস্ত্রসহ ফারুক মেম্বারের বাড়িতে হামলা চালায় এবং কয়েক রাউন্ড গুলি ও ককটেল নিক্ষেপ করে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হন।
সংঘর্ষের পর পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছালে হামলাকারীরা সরে যায়। তবে রাত দেড়টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত দুই পক্ষের নেতা-কর্মীরা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এলাকায় মহড়া দিচ্ছে বলে জানা যায়। এঘটনায় পুরো কামরাঙ্গীরচর এলাকায় স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে।
কামরাঙ্গীরচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিরুল ইসলাম বলেন, মেলার টেন্ডার ও এলাকার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে কয়েকজন আহত হয়েছেন। তবে পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোতায়েনের পর পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আমি নিজেও ঘটনাস্থলে আছি। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।