ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমামের ছেলে তানভীর ইমামের সাবেক স্ত্রীর গুলশানের বাসায় তল্লাশির নামে তছনছ, ভাঙচুর ও লুটপাটের চেষ্টার ঘটনায় তিন জনকে আটক করা হয়েছে। ওই বাসার সাবেক কেয়ারটেকারই ‘তল্লাশি’ করতে জনগণকে উসকানি দিয়েছে। খবর: আজকের পত্রিকা।
আজ বুধবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গুলশানের ওই বাসায় বিপুল পরিমাণ অবৈধ অর্থ, অস্ত্র ও আওয়ামী লীগের দোসরদের লুকিয়ে রাখা হয়েছে; এমন তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাতে দরজা ভেঙে ‘তল্লাশির’ নামে ২০–২৫ জন লোক ঢুকে পড়ে। তল্লাশির অজুহাতে সেখানে প্রবেশ করে বাসাটি তছনছ, ভাঙচুর ও লুটপাটের চেষ্টা করে তারা। ৯৯৯–এর মাধ্যমে খবর পেয়ে রাত সাড়ে ১২টায় ঘটনাস্থলে যান গুলশান জোনের ডিসি, গুলশান থানার ওসিসহ সেনাবাহিনীর সদস্যরা। সেখান থেকে তিন জন আটক করা হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।
গুলশানে মধ্যরাতে বাড়িতে অনুপ্রবেশ ও তছনছের ঘটনায় তিনজনকে থানায় জিজ্ঞাসাবাদগুলশানে মধ্যরাতে বাড়িতে অনুপ্রবেশ ও তছনছের ঘটনায় তিনজনকে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ
আটককৃতরা হলেন—শাকিল খন্দকার (২৪), জুয়েল খন্দকার (৪৮) এবং শাকিল আহমেদ (২৮)। জুয়েল খন্দকার ও শাকিল খন্দকার সম্পর্কে বাবা–ছেলে।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, শাকিল আহমেদ (২৮) একসময় বাসাটিতে কেয়ারটেকারের কাজ করতেন। তিনিই মূলত জনতাকে ২০০–৩০০ কোটি টাকা পাওয়া যেতে পারে—এমন তথ্য দিয়ে বাসাটিতে তল্লাশি চালালোর জন্য উসকানি দিয়েছেন।
এর আগে গত সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকেও একই অজুহাতে একদল জনতা বাসাটিতে প্রবেশের চেষ্টা করে। পরবর্তীতে পুলিশ এসে তাদের বুঝিয়ে সেখান থেকে সরিয়ে দেয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ মর্মে আবারও সতর্ক করছে যে, কেউ যেন আইন নিজের হাতে তুলে না নেয়। কোথাও কোনো অপরাধ সংঘটিত হলে যেন সঙ্গে সঙ্গে নিকটবর্তী থানাকে অবহিত করা হয়। সরকার দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সচেষ্ট রয়েছে ও জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধানে বদ্ধপরিকর।