শিরোনাম
◈ মাসে অতিরিক্ত ২৫০ মিলিয়ন ডলার গুনতে হবে মার্কিন শুল্ক থাকলে  ◈ ভারতের সঙ্গে কাশ্মীর নিয়ে দ্বন্দ্বের প্রসঙ্গ বাংলাদেশের কাছে তুলল পাকিস্তান ◈ মেরে না ফেলা পর্যন্ত ভারত, ‘র’ আর আ.লীগের বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত থাকবে: হাসনাত আবদুল্লাহ ◈ ‘চীন সরকারের হাসপাতাল নীলফামারীতে হবে’ ◈ বাংলাদেশ ভ্রমণে মার্কিন নাগরিকদের জন্য সতর্কতা ◈ বাসাবাড়িতে নতুন গ্যাস সংযোগ নিয়ে তিতাসের সতর্কবার্তা ◈ দেশের বাজারে আবার বাড়লো স্বর্ণের দাম, দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ◈ প্রশাসন কার পক্ষে,পাল্টাপাল্টি অভিযোগে এনসিপি - বিএনপি ◈ প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের বেতনস্কেলের প্রস্তাব বাস্তবায়নে কাজ চলছে: গণশিক্ষা উপদেষ্টা ◈ জাতীয় সংসদের আসন ৬০০ করার সুপারিশ নারী সংস্কার কমিশনের

প্রকাশিত : ০৩ মার্চ, ২০২৫, ১১:৩১ রাত
আপডেট : ১৮ এপ্রিল, ২০২৫, ০৩:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

শাহজাদপুর আবাসিক হোটেল সৌদিয়ায় অগ্নিকাণ্ড

সৌদি আরবগামী ছেলেকে বিদায় দিতে এসে আগুনে প্রাণ গেল বাবার

সৌদিয়া হোটেলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের একজন মিরন জমাদ্দার। তাঁর স্বজনেরা ঢামেকে লাশ শনাক্ত করতে আসেন: ছবি সংগ্রহ

রাজধানীর ভাটারা থানার শাহজাদপুরে আবাসিক হোটেল সৌদিয়ায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মারা যাওয়া চার ব্যক্তির মধ্যে একজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তাঁর নাম মিরন জমাদ্দার (৫৫)। আগামীকাল মঙ্গলবার তাঁর ছেলে মনিম জমাদ্দারের সৌদি আরব যাওয়ার কথা ছিল। ছেলেকে বিদায় দিতে শ্যালককে সঙ্গে নিয়ে ঢাকায় এসে ওই হোটেলে উঠেছিলেন মিরন। খবর: আজকের পত্রিকা।

আজ সোমবার দুপুর ১২টা ১৭ মিনিটে ছয়তলা ভবনের সৌদিয়া হোটেলের দ্বিতীয় তলায় অগ্নিকাণ্ডের খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। দুপুর ১২টা ৩১ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছান ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। বারিধারা ফায়ার স্টেশনের দুই ইউনিটের চেষ্টায় বেলা ১টা ৪ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।

এ ঘটনায় চারজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। তাঁরা সবাই পুরুষ। ফায়ার সার্ভিস জানায়, এক ব্যক্তির মরদেহ বাথরুমের ভেতরে এবং তিনটি সিঁড়ির গোড়ায় পড়ে ছিল। এই চারজনের মধ্যে কেবল মিরন জমাদ্দারের পরিচয় নিশ্চিত করেছেন তাঁর স্বজনেরা।

মিরনের বাড়ি পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া উপজেলার দারুলহুদা বটতলা গ্রামে। আজ বিকেল ৪টার দিকে মরদেহ চারটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায় গুলশান থানা-পুলিশ। চার মরদেহের দুটির শরীরে হালকা দগ্ধের চিহ্ন রয়েছে। তবে সেই লাশ অজ্ঞাতনামাদের।

ঢাকা মেডিকেলে নিহত ব্যক্তির ছেলে মনিম জমাদ্দার বলেন, ‘আগামীকাল সন্ধ্যায় আমার সৌদি আরবে যাওয়ার ফ্লাইট। দুদিন আগে ঢাকার রামপুরায় চাচাতো ভাই সাইদুলের বাসায় উঠি। আজ সকালে বাবা ও মামা হিরন তালুকদার গ্রাম থেকে ঢাকায় এসে শাহজাদপুর সৌদিয়া আবাসিক হোটেলের ৪০২ নম্বর রুমে ওঠেন।’

মনিম আরও বলেন, ‘বাবা ও মামার আসার খবর পেয়ে সকালে হোটেলের উদ্দেশে রওনা হই। হোটেলে ওঠার সময় দেখি, নিচতলায় অনেক ধোঁয়া। পরে বাবাকে কল দিই। বাবা কল ধরে কান্না করতে থাকেন। বাবাকে বলি, ছাদের দিকে উঠে যেতে। তারপর আর কথা হয়নি।’

নিহত ব্যক্তির শ্যালক হিরন তালুকদার বলেন, ‘সকালে হোটেলে ওঠার কিছুক্ষণ পর দুজন হোটেলের পাশে একটি রেস্টুরেন্টে নাশতা করতে যাই। এরপর তিনি আমাকে রেখে বিশ্রাম করার জন্য দ্রুত হোটেলে ফিরে যান। এর অল্প সময় পর আগুন দেখে হোটেলের নিচে দৌড়ে আসি। তখন আগুনের ধোঁয়ায় সারা হোটেল আচ্ছন্ন হয়েছিল। ঠিক সেই সময় দুলাভাই মিরন আমাকে কল দিয়ে বলেন, ‘‘আমি হোটেলের ভেতরে আটকা পড়েছি। চারদিকে ধোঁয়া। কোথাও যাওয়ার জায়গা পাচ্ছি না।’’ এই বলে কান্নাকাটি করছিলেন। এরপর কলটি কেটে যায়। সবশেষ ফায়ার সার্ভিস আগুন নেভানোর পর তাঁর মরদেহ চারতলা থেকে উদ্ধার করে।’

গুলশান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) পলাশ হোসেন জানান, চারটি মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করার প্রক্রিয়া চলছে। দুটি মরদেহের শরীরে হালকা দগ্ধের চিহ্ন রয়েছে।

এসআই আরও বলেন, একটি মরদেহের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। বাকি তিনটি এখনো অজ্ঞাত হিসেবে রয়েছে। তাঁদের বয়স ৩০ থেকে ৪০ বছর।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়