শিরোনাম
◈ নির্বাহী অফিসারের রুমে ৪ জামায়াত নেতাকে পেটালেন বিএনপি নেতারা ◈ পুরোনো সংবিধান রেখে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ সম্ভব নয়: নাহিদ ইসলাম ◈ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ভারতের অতিরিক্ত সুবিধা পাওয়া নিয়ে ভিভ রিচার্ডসের প্রশ্ন ◈ ২০২৭ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ পর্যন্ত বাংলাদেশ দলে থাকছেন সিমন্স ও সালাউদ্দিন  ◈ গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী এক নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ প্রকাশ্যে, যা জানাগেল ◈ বিসিবি ক্রিকেটারদের বেতন ও ম্যাচ ফি বাড়াচ্ছে ◈ খালেদা জিয়া আগের যে কোনও সময়ের চেয়ে অনেক ভালো আছেন : ডা. জাহিদ হোসেন ◈ নির্বাচনের মাঠে কোন দল কী অবস্থানে ◈ শাপলা চত্বর ও গণজাগরণ মঞ্চ নিয়ে প্রেস সচিব শফিকুল আলমের স্ট্যাটাস ◈ তৃতীয় ধাপে প্রাথমিকে নির্বাচিত ৬৫৩১ শিক্ষকের যোগদানের তারিখ ঘোষণা

প্রকাশিত : ০৩ মার্চ, ২০২৫, ১১:৩১ রাত
আপডেট : ০৪ মার্চ, ২০২৫, ১১:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

শাহজাদপুর আবাসিক হোটেল সৌদিয়ায় অগ্নিকাণ্ড

সৌদি আরবগামী ছেলেকে বিদায় দিতে এসে আগুনে প্রাণ গেল বাবার

সৌদিয়া হোটেলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের একজন মিরন জমাদ্দার। তাঁর স্বজনেরা ঢামেকে লাশ শনাক্ত করতে আসেন: ছবি সংগ্রহ

রাজধানীর ভাটারা থানার শাহজাদপুরে আবাসিক হোটেল সৌদিয়ায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মারা যাওয়া চার ব্যক্তির মধ্যে একজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তাঁর নাম মিরন জমাদ্দার (৫৫)। আগামীকাল মঙ্গলবার তাঁর ছেলে মনিম জমাদ্দারের সৌদি আরব যাওয়ার কথা ছিল। ছেলেকে বিদায় দিতে শ্যালককে সঙ্গে নিয়ে ঢাকায় এসে ওই হোটেলে উঠেছিলেন মিরন। খবর: আজকের পত্রিকা।

আজ সোমবার দুপুর ১২টা ১৭ মিনিটে ছয়তলা ভবনের সৌদিয়া হোটেলের দ্বিতীয় তলায় অগ্নিকাণ্ডের খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। দুপুর ১২টা ৩১ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছান ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। বারিধারা ফায়ার স্টেশনের দুই ইউনিটের চেষ্টায় বেলা ১টা ৪ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।

এ ঘটনায় চারজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। তাঁরা সবাই পুরুষ। ফায়ার সার্ভিস জানায়, এক ব্যক্তির মরদেহ বাথরুমের ভেতরে এবং তিনটি সিঁড়ির গোড়ায় পড়ে ছিল। এই চারজনের মধ্যে কেবল মিরন জমাদ্দারের পরিচয় নিশ্চিত করেছেন তাঁর স্বজনেরা।

মিরনের বাড়ি পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া উপজেলার দারুলহুদা বটতলা গ্রামে। আজ বিকেল ৪টার দিকে মরদেহ চারটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায় গুলশান থানা-পুলিশ। চার মরদেহের দুটির শরীরে হালকা দগ্ধের চিহ্ন রয়েছে। তবে সেই লাশ অজ্ঞাতনামাদের।

ঢাকা মেডিকেলে নিহত ব্যক্তির ছেলে মনিম জমাদ্দার বলেন, ‘আগামীকাল সন্ধ্যায় আমার সৌদি আরবে যাওয়ার ফ্লাইট। দুদিন আগে ঢাকার রামপুরায় চাচাতো ভাই সাইদুলের বাসায় উঠি। আজ সকালে বাবা ও মামা হিরন তালুকদার গ্রাম থেকে ঢাকায় এসে শাহজাদপুর সৌদিয়া আবাসিক হোটেলের ৪০২ নম্বর রুমে ওঠেন।’

মনিম আরও বলেন, ‘বাবা ও মামার আসার খবর পেয়ে সকালে হোটেলের উদ্দেশে রওনা হই। হোটেলে ওঠার সময় দেখি, নিচতলায় অনেক ধোঁয়া। পরে বাবাকে কল দিই। বাবা কল ধরে কান্না করতে থাকেন। বাবাকে বলি, ছাদের দিকে উঠে যেতে। তারপর আর কথা হয়নি।’

নিহত ব্যক্তির শ্যালক হিরন তালুকদার বলেন, ‘সকালে হোটেলে ওঠার কিছুক্ষণ পর দুজন হোটেলের পাশে একটি রেস্টুরেন্টে নাশতা করতে যাই। এরপর তিনি আমাকে রেখে বিশ্রাম করার জন্য দ্রুত হোটেলে ফিরে যান। এর অল্প সময় পর আগুন দেখে হোটেলের নিচে দৌড়ে আসি। তখন আগুনের ধোঁয়ায় সারা হোটেল আচ্ছন্ন হয়েছিল। ঠিক সেই সময় দুলাভাই মিরন আমাকে কল দিয়ে বলেন, ‘‘আমি হোটেলের ভেতরে আটকা পড়েছি। চারদিকে ধোঁয়া। কোথাও যাওয়ার জায়গা পাচ্ছি না।’’ এই বলে কান্নাকাটি করছিলেন। এরপর কলটি কেটে যায়। সবশেষ ফায়ার সার্ভিস আগুন নেভানোর পর তাঁর মরদেহ চারতলা থেকে উদ্ধার করে।’

গুলশান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) পলাশ হোসেন জানান, চারটি মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করার প্রক্রিয়া চলছে। দুটি মরদেহের শরীরে হালকা দগ্ধের চিহ্ন রয়েছে।

এসআই আরও বলেন, একটি মরদেহের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। বাকি তিনটি এখনো অজ্ঞাত হিসেবে রয়েছে। তাঁদের বয়স ৩০ থেকে ৪০ বছর।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়