শিরোনাম
◈ মাসে অতিরিক্ত ২৫০ মিলিয়ন ডলার গুনতে হবে মার্কিন শুল্ক থাকলে  ◈ ভারতের সঙ্গে কাশ্মীর নিয়ে দ্বন্দ্বের প্রসঙ্গ বাংলাদেশের কাছে তুলল পাকিস্তান ◈ মেরে না ফেলা পর্যন্ত ভারত, ‘র’ আর আ.লীগের বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত থাকবে: হাসনাত আবদুল্লাহ ◈ ‘চীন সরকারের হাসপাতাল নীলফামারীতে হবে’ ◈ বাংলাদেশ ভ্রমণে মার্কিন নাগরিকদের জন্য সতর্কতা ◈ বাসাবাড়িতে নতুন গ্যাস সংযোগ নিয়ে তিতাসের সতর্কবার্তা ◈ দেশের বাজারে আবার বাড়লো স্বর্ণের দাম, দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ◈ প্রশাসন কার পক্ষে,পাল্টাপাল্টি অভিযোগে এনসিপি - বিএনপি ◈ প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের বেতনস্কেলের প্রস্তাব বাস্তবায়নে কাজ চলছে: গণশিক্ষা উপদেষ্টা ◈ জাতীয় সংসদের আসন ৬০০ করার সুপারিশ নারী সংস্কার কমিশনের

প্রকাশিত : ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ০৫:৩০ বিকাল
আপডেট : ০৪ এপ্রিল, ২০২৫, ০৪:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ভালোবাসার অমর্যাদা করেছে ছেলেটি: আদালতে বিচারক

২০১৯ সালে রাজধানীর কমলাপুরে রেলস্টেশনের পরিত্যক্ত রেলওয়ের বগিতে প্রেমিকাকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগের ঘটনায় মারুফ হাসান বাঁধন নামে এক প্রেমিককে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এদিন রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেন, মেয়েটি ছেলেটিকে ভালোবেসে সুদূর পঞ্চগড় থেকে পালিয়ে ঢাকায় এসেছে। কিন্তু ছেলেটি তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করেছে। সে ভালোবাসার অমর্যাদা করেছে। সমাজে এরকম ঘটনার সর্বোচ্চ সাজা না হলে আইন-আদালতের প্রতি মানুষের আস্থা কমে যাবে। আইন সত্যের বাইরে কোনও কিছু বিশ্বাস করে না। 

বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৫ এর বিচারক মুহাম্মদ সামছুল ইসলাম এসব কথা বলেন। 

এদিন কারাগারে আটক আসামি বাধনকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর তার উপস্থিতিতে ১২টা ২০ মিনিটের দিকে বিচারক রায় পড়া শুরু করেন। ১টা ৫ মিনিটে রায় পড়া শেষে আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তার মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন। একইসঙ্গে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগে ২০১৯ সালের ২৩ আগস্ট তাকে পঞ্চগড় থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর থেকে তিনি কারাগারে আটক রয়েছে।

রায়ের পর্যবেক্ষণে সামছুল ইসলাম বলেন, এ মামলার আসামি বাধন, আসমাকে নিয়ে কমলাপুর রেলস্টেশনের পরিত্যক্ত বগিতে যান। এটা আশেপাশের সিসিটিভি ক্যামেরায় দেখা গেছে। বাধন যে কাপড় পড়ে সেখানে গিয়েছেন, সেই পোষাকটিও আলামত হিসেবে পুলিশ জব্দ করেছে। আসমার শরীরে কয়েকটি স্থানে একজন পুরুষের কামড়ের চিহ্ন পাওয়া গেছে। ময়নাতদন্ত ও সুরতহাল প্রতিবেদনেও একই বিষয় উঠে এসেছে। আসমার সঙ্গে বাধনের সম্পর্কে বিষয়টি বাধন জবানবন্দির মাধ্যমে স্বীকার করে। সুতরাং মামলায় চাক্ষুষ সাক্ষ্য না থাকলেও পারিপার্শ্বিক সব দিক বিবেচনায় বাধনকে অপরাধী হিসেবে সাব্যস্ত করা হলো। 

মামলার রায়ে ন্যায় বিচার পায়নি জানিয়ে আসামি পক্ষের আইনজীবী মওদুদ আহমেদ বলেন, এ মামলায় আমরা ন্যায় বিচার পাইনি। আমরা উচ্চ আদালতে যাবো।  

মামলার সূত্রে জানা গেছে, বাধনের সঙ্গে ভুক্তভোগী আসমা আক্তারের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ২০১৯ সালের ১৮ আগস্ট তারা পঞ্চগড় থেকে পালিয়ে ঢাকায় চলে আসেন। তারা কোনও আবাসিক হোটেল না পেয়ে কমলাপুর রেলস্টেশনে অবস্থান করেন। এক পর্যায়ে বলাকা ট্রেনের একটি পরিত্যক্ত বগিতে তাকে নিয়ে যান বাধন। সেখানে আসমাকে ধর্ষণ করেন তিনি। তবে আসমা চিৎকার করলে তার ওড়না দিয়ে গলা পেঁচিয়ে হত্যা করে বাধন। এরপর বাধন ফের পঞ্চগড়ে ফিরে যান। ট্রেনের বগি বুঝে নিতে গিয়ে ওই বছরের ১৯ আগস্ট সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মরদেহ দেখতে পায় রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগ। পরে ওই তরুণীর সঙ্গে থাকা একটি ব্যাগের মধ্যে জন্ম সনদ দেখে তার বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করে পরিচয় নিশ্চিত হয় পুলিশ।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর চাচা রাজু আহমেদ বাদী ঢাকার রেলওয়ে থানায় মামলা করেন। তদন্ত শেষে একমাত্র আসামি বাধনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগ পত্র দেন। পরে এ মামলায় তার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়। বিচার চলাকালে আদালত ১৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।  উৎস: বাংলাট্রিবিউন।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়