রাজধানীর দক্ষিণখানের নর্দাপাড়ায় বৃহস্পতিবার রাতে পারভীন (৩০) নামের এক নারীকে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, পারভীনের স্বামী দক্ষিণখান থানায় গিয়ে স্ত্রীকে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন।
দক্ষিণখান থানার পুলিশ জানায়, পারভীন তাঁর স্বামী জামিনুর রহমানের (৩৫) সঙ্গে নর্দাপাড়ায় থাকতেন। তাঁরা দুজনেই দক্ষিণখানে পোশাক কারখানার শ্রমিক। দুজনের আগে অন্যত্র বিয়ে হয়েছিল। প্রত্যেকেরই আগের ঘরে একটি করে সন্তান রয়েছে। তারা তাদের দাদা-দাদি ও নানা-নানির সঙ্গে থাকে।
শুক্রবার সকালে দক্ষিণখান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন কুমার চৌধুরী বলেন, বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে নর্দাপাড়ার বাসায় পারিবারিক বিষয় নিয়ে পারভীনের সঙ্গে তাঁর স্বামী জামিনুরের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে জামিনুর শিল দিয়ে পারভীনের মাথায় আঘাত করেন। এতে পারভীনের মাথা থেঁতলে যায় এবং ঘটনাস্থলে মারা যান।
সুমন কুমার চৌধুরী আরও বলেন, পরে জামিনুর দক্ষিণখান থানায় এসে জানান, তিনি তার স্ত্রীকে হত্যা করেছেন। এ জন্য তিনি অনুতপ্ত। তাকে যেন গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর পুলিশ তাকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে যায়।
পুলিশ কর্মকর্তা সুমন কুমার আরও বলেন, স্ত্রীকে হত্যার মামলায় জামিনুরকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। পারভীনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। উৎস: সমকাল।
আপনার মতামত লিখুন :