শিরোনাম
◈ আলোচিত পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়নের পথে এগিয়ে যাওয়াই এখন অগ্রাধিকার: চীনের রাষ্ট্রদূতকে প্রধান উপদেষ্টা ◈ বাংলাদেশ ভ্রমণে মার্কিন সতর্কতা নিয়ে ‘ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন বিভ্রান্তিকর' ◈ স্ক্যানিং ছাড়াই চলছে বেনাপোল বন্দর দিয়ে পণ্য প্রবেশ, ঝুঁকিতে নিরাপদ বাণিজ্য! ◈ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র খুন: প্রেমিকাকেও দেখা গেল সিসিটিভিতে, মামলায় নেই তার অস্তিত্ব ◈ দেশি-বিদেশি মাস্টারপ্ল্যান আওয়ামী লীগকে মাঠে নামানোর পেছনে ◈ পারভেজ হত্যাকাণ্ড: ছাত্রদল বিভ্রান্তিকর প্রচারণা শুরু করেছে: উমামা ফাতেমা (ভিডিও) ◈ নাটোরে ছাত্রলীগ কর্মীকে রিকশায় পিঠে পা চেপে ঘোরানো, ভিডিও ছড়িয়ে পড়ায় তোলপাড় ◈ ‘আমরা একটি কঠিন কিন্তু অপরিহার্য পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি’  ◈ বাংলাদেশ থেকে যাওয়ার সময় জীবননাশের শঙ্কায় ছিলাম: দাবি হাথুরুসিংহের ◈ জাতীয় পরিচয়পত্রের অসুন্দর ছবিটি ঘরে বসেই বদলাবেন যেভাবে

প্রকাশিত : ২২ অক্টোবর, ২০২৪, ০৩:১০ দুপুর
আপডেট : ১৫ এপ্রিল, ২০২৫, ০২:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মেট্রোতে কাপলদের রোমান্স, লজ্জায় বিব্রত অনেকেই

ডেস্ক রিপোর্ট : ফাহিম আল ফারাবি নামের এক যাত্রী মেট্রো রেলের একটি কমিউনিটি গ্রুপে লিখেছেন, ‌‌‘ঘুরতে যাওয়া মানুষজন নিয়ম-কানুনের কোনো তোয়াক্কাই করে না, বিশেষ করে ছুটির দিনগুলোতে। মেট্রো ইদানিং নোংরামির চরম সীমায় পৌঁছে গেছে। কিছু কাপল এমনভাবে ঢলাঢলি করে যে সাধারণ মানুষই লজ্জায় পড়ে যায়।’

তিনি আরও লিখেছেন, ‘আজ মিরপুর-১১ থেকে বিকেল ৪:৩০-এ মেট্রোতে উঠলাম। সিটে বসা এক কাপলকে দেখলাম। মেয়েটি শাড়ি পরে ছিল কিন্তু শাড়িটি এমন বাজেভাবে পরেছিল যে বাধ্য হয়ে ভিড় ঠেলে দূরে গিয়ে দাঁড়াতে হলো। এর মধ্যে কাপলটির ঢলাঢলি শুরু হলো। মেয়েটি লিটারেলি ছেলেটির গায়ে শুয়ে পড়ছিল। ছেলেটিও বারবার মেয়েটিকে চুমু দিচ্ছিল এবং জড়িয়ে ধরে রাখছিল। তাদের পাশেই ছিল একটি ফ্যামিলি, বাবা-মা আর ৭-৮ বছরের একটি ছেলে। ফ্যামিলিটির অপ্রস্তুত অবস্থায় এক ভদ্রলোক বাধ্য হয়ে কাপলটিকে ধমক দিয়ে সোজা হয়ে বসতে বলেন। তখন মেয়েটি ভদ্রলোকের সঙ্গে তর্ক শুরু করে। পরে সামনে থাকা এক মহিলা ও আরও কয়েকজন প্রতিবাদ করলে তারা চুপ হয়ে যায়।’

ফার্মগেটে নামতে গিয়ে ফাহিম আরও দেখেন, ‘সিঁড়ির উপরে এক কাপল প্রায় জড়াজড়ি করে দাঁড়িয়ে আছে। তারা অর্ধেক সিঁড়ি ব্লক করে গল্প করছিল। ভাই, রোমান্স করতে চাইলে রুমে যান। ম্যারিড না হলে কাপল রেস্টুরেন্টে যান। বাজেট না থাকলে অন্তত কাশবনের চিপায় যান, কিন্তু মেট্রোটা ছাড়েন। এটা একটা পাবলিক ট্রান্সপোর্ট, আপনার রোমান্সের জায়গা নয়।’

তার পোস্টের প্রতিক্রিয়ায় অনেকে তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। কেউ বলছেন, ‘আমি আজ গালি দিয়েছি।' কেউ আবার প্রতিবাদ করার কথা বলছেন। কেউ আফসোস করে বলছেন, 'দেশে জনসংখ্যা বেড়েছে, কিন্তু মানুষ বাড়েনি।' আবার অনেকে বলছেন, 'তাদের ছবি তুলে ফেসবুকে এক্সপোজ করে দিতে।’

হোসাইন আসলাম লিখেছেন, ‘এরা দিল্লি, নিউইয়র্ক, ইউরোপের মেট্রোগুলোর ভিডিও দেখে এগুলো করতে শুরু করেছে। এরপরে গান বাজনা করবে, অ্যাটেনশন সিক করার জন্য আরও নতুন উপায় বের করবে।’

জাবের আলী লিখেছেন, ‘অতি আধুনিক হলে যা হয়।’ তবে সাব্বির হোসেন লিখেছেন, ‘ভালোবাসা তো স্বর্গীয়।’ আবার এমএইচ সাকিব লিখেছেন, ‘দিন দিন বেহায়াপনা চরমে উঠছে, মানুষের লজ্জাও দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে।’

মো. সানি লিখেছেন, ‘আসলেই, আমি ও প্রায় দেখি। এদের কি কমন সেন্স বলতে কিছু নেই?’

নাবিল লিখেছেন, ‘বললেই তো হেরে রেরে করে তেড়ে আসবেন! আরে ভাই, আপনি ডিসাইড করার কে? ঢলাঢলি আর চুমাচুমি কি আইন দ্বারা নিষেধ নাকি এদেশে? আপনার ভালো না লাগতেই পারে! ইগনোর করেন। অন্যকে সংযত হতে বলার আপনি কে ভাই?’

শাব্বীর আহমাদ পলাশ লিখেছেন, ‘এনাউন্সমেন্ট করা প্রয়োজন-দয়া করে ঢলাঢলি করবেন না। নিরাপত্তার স্বার্থে এটি রেকর্ড হচ্ছে। ঢলাঢলি করলে ৫০০ টাকা জরিমানা।’

খালিদ হাসান আসিফ লিখেছেন, ‘মেট্রোতে আশপাশের দিকে মন না দিয়ে ফোন টিপেন, বই পড়েন, নইলে জীবন নিয়ে চিন্তা করেন। সুখী থাকবেন।’

সাইফ খন্দকার লিখেছেন, ‘অন্য পুরুষ থেকে নিরাপত্তার নামে গার্লফ্রেন্ডকে কচলাতে দেখার দৃশ্য আসলেই অনেক ঘটছে। আমি কোনো প্ল্যাটফর্মে এটা নিয়ে কথা তুলি নাই কারণ ভেবেছিলাম আমি একজন খ্যাত।’

সুমন লিখেছেন, ‘লাইনে টিকেট কাটতে একজন দাঁড়ায়, আরেকজন পেছন থেকে বা পাশে জড়িয়ে থাকে। মাঝে মাঝে একজন আরেকজনের গায়ে হাত দেয়। কিছু বললেই রুখে উঠে। অসভ্যতার চরম সীমায় চলে গেছে এই প্রজন্ম। এর জন্য দায়ী এদের বাবা-মা।’

এসকে লোপা লিখেছেন, ‘সহমত। আমাদের উচিত সবাই মিলে প্রতিবাদ করা, তাহলে ঐসব নোংরা পরিবারের সন্তানরা এসব করার সাহস পাবে না। আসুন এক হই, কেউ প্রতিবাদ করলে তাকে সমর্থন করি।’

তাবাসসুম ফারাহ দীর্ঘ মন্তব্য করেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘আমার মনে হয়, যার নিজের সম্মান নেই এমন মানুষকে আপনি এসব শেখাতে পারবেন না। কারণ মেট্রো পাবলিক ট্রান্সপোর্ট। সবাই সবার মতো করে চলবে। এদের বলতে গেলে উলটা নিজের সম্মানহানি হওয়ার একটা আশঙ্কা থাকে। এই জন্য আমি মনে করি, পাবলিক ট্রান্সপোর্টে চলাচল করার সময় নিজের কিছু কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকা উচিত। যেমন কোনো যিকির করা, একটি সূরা পড়া, টু-ডু-লিস্ট তৈরি করা, জরুরি ইমেইল বা মেসেজের জবাব দেওয়া ইত্যাদি। কোনো কাজ না থাকলে গল্প পড়া বা বাহিরের দৃশ্য ভিডিও করা। কারণ মেট্রোতে ওঠা অন্য এক দল মানুষের বাজে অভ্যাস হলো ভেতরের ভিডিও করা বা ভিডিও কলে অন্যদের দেখানো। আমি আগে অত্যন্ত বিরক্ত হতাম, কিন্তু এক সময়ে ভেবে দেখলাম বিরক্ত হয়ে লাভ নেই! যারা এমন করে, তারা কখনো বদলায় না। এর চেয়ে আমার উচিত নিজের কিছু কাজ গুছিয়ে নেওয়া।’

সুত্র : নিউজ ২৪

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়