সুজিৎ নন্দী: [২] ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আমাদের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। তাদের শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কী করা যেতে পারে সে বিষয়ে পরামর্শ গ্রহণের জন্য শিক্ষার্থীদের একাডেমিক বা প্রাতিষ্ঠানিক অভিভাবক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও অধ্যক্ষদের সঙ্গে মত বিনিময়সভা শুরু করেছি।
[৩] মেয়র বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের সম্মানিত ভিসি ও প্রিন্সিপালের কাছ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের তথ্য নিয়ে আমি তাদের পাশে দাঁড়াব। ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে যাব। আমরা আজকে প্রথম সভা করেছি। প্রয়োজনে আরো সভা করব। সবাইকে সম্পৃক্ত করে, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ও পরামর্শে আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের এগিয়ে নিয়ে যাব।
[৪] সোমবার সন্ধ্যায় গুলশানে নগর ভবনে মেয়র আতিকুল ইসলামের সঙ্গে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও বিভিন্ন কলেজের অধ্যক্ষদের সভায় একাধিক পরামর্শ দেওয়া হয়।
[৫] সোমবার সন্ধ্যায় গুলশানে নগর ভবনে মেয়র আতিকুল ইসলামের সঙ্গে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও বিভিন্ন কলেজের অধ্যক্ষদের সভায় একাধিক পরামর্শ দেওয়া হয়।
[৬] এ সময় বলা হয়, ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থী, বিশেষ করে যারা নিহত ও আহত হয়েছে তাদের পাশে দাঁড়ানো। নিহত শিক্ষার্থীদের পরিবারের সদস্যদের প্রতি সহানুভূতিশীল হয়ে পাশে থাকা। দ্রুত অনলাইনে ক্লাস শুরু করা। সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড এবং খেলাধুলায় শিক্ষার্থীদের আরো বেশি সম্পৃক্ত করা।
[৭] আলোচনায় আরো বলা হয়, সরকারি ছাড়াও বিকল্প ক্যারিয়ার আছে এ বিষয়ে শিক্ষার্থীদের জানানো। উদ্যোক্তা হওয়ার বিষয়ে উৎসাহ দেওয়া। ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা, আইনগত এবং আর্থিক সহায়তা প্রদান। কী কারণে এই ঘটনা ঘটল ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করে, গবেষণা করে তথ্য উদ্ঘাটন। শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সম্পর্ক বৃদ্ধি করা। শিক্ষক, শিক্ষার্থী, রাজনীতিবীদ ও সরকারের নীতিনির্ধারকদের মধ্যে আন্ত সম্পর্ক বৃদ্ধি করা। শিক্ষার্থীদের মধ্যে দেশপ্রেম বৃদ্ধি করা।
[৮] সভায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির প্রতিনিধি ছাড়াও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশ (এআইইউবি), মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা উপস্থিত ছিলেন। সম্পাদনা: সমর চক্রবর্তী
একে
আপনার মতামত লিখুন :