মহসিন কবির: প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের রহস্য জনাতে নানামুখী তদন্ত শুরু হয়েছে। কয়েকটি তদন্ত টিম কাজ করছে।
সরকারের উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটির পাশাপাশি আইন প্রয়োগকারী সংস্থার একাধিক টিমও তৎপর রয়েছে। চলছে ফুটেজ বিশ্লেষণ ও সন্দেহভাজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। ২৫ ডিসেম্বর ছিল বড়দিনের ছুটি। সেদিন রাতেই ঘটে এই অগ্নিকাণ্ড। তদন্ত কমিটি জানার চেষ্টা করছে, ছুটির দিনও রাতে কে বা কারা সচিবালয়ে অবস্থান করছিলেন। আর এ তথ্য জানতে চলছে ফুটেজ বিশ্লেষণ।
সূত্র বলছে, বেশকিছু প্রশ্নের উত্তর জানতে চায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনির নেতৃত্বাধীন উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি। আগুনের উৎস ও কারণ উদ্ঘাটনে নানামুখী কার্যক্রমও শুরু করেছে কমিটি। এরই ধারাবাহিকতায় বড়দিনের ছুটির মধ্যেও কারা সেদিন রাতে সচিবালয়ে উপস্থিত ছিলেন, তা জানার চেষ্টা করছে। এ জন্য সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনের ৩টি প্রবেশপথের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ, সচিবালয়ের সব প্রবেশপথের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ, ৭ নম্বর ভবনের সামনে-পেছনের সব সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করেছে পুলিশ।
এ ছাড়া সচিবালয়ে থাকা প্রতিটি ক্যান্টিনের কর্মকর্তা-কর্মচারীর তালিকা তৈরির কাজ চলছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের আওতায় আনা হবে বলে জানা গেছে। এসব বেসরকারি কর্মচারী বিশেষ পাস নিয়ে সচিবালয়ে প্রবেশ করে থাকেন।
এদিকে রোববার পর্যন্ত তদন্ত কমিটি আগুনের উৎস এবং কারণ শনাক্ত করতে পারেনি। তা বের করার জোর চেষ্টা চলছে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় শাহবাগ থানা পুলিশ একটি জিডি করেছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি।
অগ্নিকাণ্ডে ৭ নম্বর ভবনের ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম তলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই তিন ফ্লোরের প্রত্যেকটিরই করিডোর বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা তদন্ত কমিটির একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে গণমাধ্যমকে বলেছেন, পুলিশের তদন্তকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের ছাদ পরিদর্শন করেছেন। ছাদে অগ্নিকাণ্ডের কোনো আলামত রয়েছে কিনা তা দেখার জন্য। ছাদে তারা কুকুরের অনেক বিষ্ঠা দেখতে পেয়েছেন। অগ্নিকাণ্ডের পর ৭ নম্বর ভবনের অষ্টম তলা থেকে একটি কুকুরের মরদেহ উদ্ধার করে তদন্তকারীরা।
আপনার মতামত লিখুন :