শাহীন খন্দকার: [২] আগামী ২০২৬ সালে ঔষধ শিল্প চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে বলে আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন, ঔষধ শিল্পের সঙ্গে জড়িত সংশ্লিষ্ট উদ্যোক্তাগণ। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেরুয়ারি এশিয়া ফার্মা এক্সপো ও এশিয়া ল্যাব এক্সপোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন নেতারা।
[৩] বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির নেতারা বলেন, ২০২৬ সালে উন্নয়ণশীল দেশে উর্ত্তীণ হবে বাংলাদেশ। তখন থেকে দেশের ঔষধ শিল্পের প্রয়োজনীয় ঔষধ প্রাপ্তিতে ঘাটতিসহ দাম বৃদ্ধি হবে বলে আশংকার কথা জানিয়েছেন তারা। তারা আরও বলেছেন, তাই এখন থেকেই সরকারকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।
[৪] এ সময় ঔষধ শিল্পের নেতারা বলেন, আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে এই খাতে সাড়ে তিন বিলিয়ন ডলারে নেওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন। কেননা বাংলাদেশের বর্তমানে চাহিদার ৯৮ শতাংশ পুরণ করছে দেশীয় ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানীর উৎপাদিত ঔষধ।
[৫] উল্লেখ্য, বিশ্বের ৪৯টি স্বল্পোন্নত দেশের মধ্যে এখনো বাংলাদেশ একটি। স্বল্পোন্নত দেশ হিসাবে ঔষধ শিল্পের দিক থেকে বাংলাদেশ ভালো অবস্থানে রয়েছে। আর স্বল্পোন্নত দেশের অর্ন্তভুক্ত বলে বাংলাদেশ প্রথমে ১৯১৬ সাল পর্যন্ত যে কোন পেটেন্টপ্রাপ্ত ঔষধ জেনেরিক ফর্মে উৎপাদন করার সুযোগ পেয়েছিলো।
[৬] এশিয়া ফার্মা এক্সপো ও এশিয়া ল্যাব এক্সপো চলবে ২ মার্চ পর্যন্ত। সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এক্সপো খোলা থাকবে। এবারের আয়োজনে আমেরিকা, চীন, ইংল্যান্ড, জার্মানি, মালয়েশিয়া, ভারত, থাইল্যান্ড, ইতালি, জাপান, সুইজারল্যান্ড, তাইওয়ান, আয়ারল্যান্ড ও বাংলাদেশসহ পৃথিবীর মোট ৩৬টি দেশের ৭৫১টি কোম্পানি অংশগ্রহণ করেছে।
[৭] অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী নাজমুল হাসান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান এএইচএম আহসান, ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফ। সমাপনি বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির মহাসচিব এস.এম শফিউজ্জামান। সম্পাদনা: কামরুজ্জামান
এসকে/কে/এনএইচ
আপনার মতামত লিখুন :