মাজহারুল মিচেল: [২] দেশে গত ১০ বছরের মধ্যে মাত্র ১ বছর, অর্থাৎ ২০২০ সালের নভেম্বরে ডেঙ্গুর সর্বোচ্চ চূড়া দেখা গেছে। সে বছর সর্বোচ্চ রোগী ছিল এক দিন ৫৪৬ জন। পরে আস্তে আস্তে ডেঙ্গু কমতে থাকে।
[৩] এই ১০ বছরের ডেঙ্গু রোগীর তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, চূড়ায় ওঠার পরের মাসগুলোতে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব ছিল না বললেই চলে। এমনকি চূড়ায় ওঠা রোগীর সংখ্যাও ছিল খুবই কম। কিন্তু এ বছর এখনো চূড়া নিয়ে নিশ্চিত কিছু বলতে পারছেন না বিশেষজ্ঞরা।
[৪] তাদের মতে, আগামী ১৫ দিন ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়বে। এরপর শীত পড়লে ও তাপমাত্রা কমলে কিছুটা কমতে পারে।
[৫] স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২২১ জন আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৮৬৩ জন। চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত ১৫৬২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
[৬] বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ৪ হাজার ৪৬২ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে এখন পর্যন্ত ৩ লাখ ৩ হাজার ৫৩৬ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২ লাখ ৯৭ হাজার ৫১২ জন। সম্পাদনা: তারিক আল বান্না
আপনার মতামত লিখুন :