মাজহারুল মিচেল: [২] বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট মিধিলিতে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টি হতে দেখা দেয়। এতে বিভিন্ন জায়গায় পানি জমতেও দেখা যায়। ডেঙ্গুর ভাইরাস বহনকারী এডিস মশার বংশ বিস্তারের অন্যতম অনুকুল উপাদানের একটি হচ্ছে জমে থাকা পানি। সেই পানি জমে থাকার দৃশ্য দেখে সাধারণ মানুষের মনে জন্ম নিয়েছে আতঙ্ক।
[৩] কীটতত্ত্ববিদ সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রুহুল আমিন জানান, এ বৃষ্টিটি দেশের সব জায়গায় হলেও বেশিভাগ জায়গায় এখন শুস্ক আবহাওয়া বিরাজ করছে। ফলে পানি জমে থাকলেও প্রয়োজনীয় তাপমাত্রা পাবেনা এডিস মশা। কাজেই বংশ বিস্তারও সম্ভাবনা খুবই কম। তবে জমে থাকার পানি যেখানেই দেখা যাবে অতি সতর্কতার জন্য অবশ্যই সেটাকে ফেলা বা নষ্ট করে দেওয়ারও পরামর্শ দেন তিনি।
[৪] তিনি বলেন, এখন শুস্ক মৌসুম সুতরাং পানি বেশিদিন জমে থাকবে না। তারপরও সচেতন হতে হওয়ার পরামর্শ দিয়ে ড. রুহুল জানান, সারাদেশের ন্যায় রাজধানীতেও শীত বাড়লে ডেঙ্গু কমে যাওয়ার আশা ব্যক্ত করেন।
[৫] স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম শনিবার (১৮ নভেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নতুন আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২০৪ জন আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৭১০ জন।
[৬] বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ৫১৮৬ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে এখন পর্যন্ত ২ লাখ ৯৯ হাজার ৯৬৪ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন।
[৭] আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২ লাখ ৯৩ হাজার ২৩৫ জন। এর মধ্যে ঢাকায় ১ লাখ ৩ হাজার ৮২ এবং ঢাকার বাইরে ১ লাখ ৯০ হাজার ১৫৩ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। সম্পাদনা: তারিক আল বান্না
এমএম/টিএবি/এনএইচ
আপনার মতামত লিখুন :