জেরিন আহমেদ: দুর্যোগ ফোরাম বৃহস্পতিবার (৮ জুন) এ তথ্য জানিয়েছে। সংগঠনটির হিসাব মতে, এর মধ্যে শিশু একজন, নারী ৫ জন এবং ১৪ জন পুরুষ হিট স্ট্রোকে মারা যান। এদের বেশিরভাগই নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষ। সূত্র: নিউজ২৪
সংগঠনটি আরো জানায়, সারা দেশের ওপর দিয়ে গত ২ মে থেকে শক্তিশালী তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তীব্র এই গরমে কিছু ভুল পদক্ষেপ বিপদকে আরো বাড়িয়ে তুলেছে। এই সময় নিরাপদ পানি পান করা, বাইরের খাবার পরিহার করার পাশাপাশি কিছু সতর্কতা বড় ধরনের বিপদ থেকে রক্ষা করতে পারে। আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, এই তাপপ্রবাহ জুন মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। সূত্র: যমুনা টিভি
তাপদাহে হিট স্ট্রোক থেকে সুরক্ষিত থাকতে পরামর্শ দিয়েছেন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, হিট স্ট্রোকের মূল ঝুঁকি মূলত যারা অনেকক্ষণ রোদে কাজ করে তাদের। মানবদেহের স্বাভাবিক তাপমাত্রা ৯৮ ডিগ্রি ফারেনহাইট। প্রচণ্ড গরমে মানুষের শরীরের তাপ নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা থাকে। এ অবস্থায় শরীরের তাপমাত্রা ১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট ছাড়িয়ে গেলে হিট স্ট্রোক হয়। সূত্র : বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড
এই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মতে, এটি বিপদজনক। এটি খুবই সিরিয়াস, সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা না দিলে রোগী মারাও যেতে পারে। তার পরামর্শ, অপ্রয়োজনে কারো বাইরে বের হওয়া উচিত না। শ্রমিক, দোকানদার, রিকশাচালকসহ যারা বাইরে কাজ করেন তাদের অবশ্যই ছাতা ব্যবহার করতে হবে। সম্পাদনা: মাজহারুল ইসলাম
জেএ/এমআই/একে
আপনার মতামত লিখুন :