প্রচণ্ড গরমে শরীরের পানিশূন্যতা, ক্লান্তি ও ত্বকের নানা সমস্যা প্রায় সবারই নিত্যসঙ্গী হয়ে উঠেছে। এ সময় শরীরকে ভিতর থেকে ঠান্ডা রাখতে অনেকেই খোঁজ করেন প্রাকৃতিক ও স্বাস্থ্যকর উপায়। চিকিৎসকদের মতে, কিশমিশ ভেজানো পানি হতে পারে এমন এক উপকারী পানীয়, যা শরীরের জন্য গ্রীষ্মে এক আশীর্বাদস্বরূপ।
কীভাবে তৈরি করবেন কিশমিশ ভেজানো পানি?
এই পানীয় তৈরি করতে ১০–১৫টি কিশমিশ রাতে এক গ্লাস পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হয়। সকালে খালি পেটে সেই পানি পান করে নিলেই হয়। চাইলে কিশমিশগুলো চিবিয়ে খাওয়াও যেতে পারে।
কী উপকার হয় এই পানীয় খেলে?
ডিটক্সে সহায়তা করে: কিশমিশে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও প্রাকৃতিক শর্করা লিভার ও অন্ত্র পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। এটি শরীর থেকে টক্সিন বের করতে সহায়তা করে, ফলে গরমে ত্বকে ব্রণ ও ফুসকুড়ি হওয়ার সম্ভাবনা কমে।
শরীরের পানির ঘাটতি দূর করে: কিশমিশ ভেজানো পানি শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে। গরমে ঘাম ঝরার কারণে শরীর যে পরিমাণ পানি হারায়, তা পূরণে এই পানীয় দারুণ কার্যকর।
হজমে সাহায্য করে: গরমে অনেকেই হজমের সমস্যায় ভোগেন। কিশমিশের ফাইবার পেট পরিষ্কার রাখতে সহায়তা করে এবং গ্যাস্ট্রিক বা অ্যাসিডিটির প্রবণতা কমায়।
রক্তশক্তি বাড়ায়: কিশমিশে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন ও ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, যা রক্তস্বল্পতা বা অ্যানিমিয়া প্রতিরোধে সহায়ক। রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করে।
চোখ ও ত্বকের জন্য ভালো: এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চোখের স্বাস্থ্য রক্ষা করে এবং ত্বক উজ্জ্বল রাখে। কিশমিশ ভেজানো পানি নিয়মিত খেলে ত্বক মসৃণ ও ঝকঝকে হয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস কিশমিশ ভেজানো পানি খেলে শরীর থাকবে সতেজ, হজম থাকবে ভালো এবং গ্রীষ্মকালীন নানা শারীরিক সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। তবে ডায়াবেটিক রোগীদের এটি খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
গরমে কিশমিশ ভেজানো পানি একটি সহজ, সাশ্রয়ী ও প্রাকৃতিক পানীয়—যা দেহের ভিতর থেকে সতেজতা এনে দিতে পারে। ঘরোয়া এই উপায়টি গ্রীষ্মে শরীরকে সুস্থ রাখার এক চমৎকার বিকল্প হতে পারে।