শিরোনাম
◈ ঢাকায় ‘র’ এর স্টেশন চীফ কে, জানালেন সাংবাদিক জুলকারনাইন ◈ আয়তন বাড়ছে বাংলাদেশের: গত ৩৬ বছরে শুধু সন্দ্বীপের আশপাশে ভূমি বেড়েছে ৪৭৫ বর্গকিলোমিটার ◈ আগামী ঈদের আগেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার : জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ◈ আশুগঞ্জের ‍তরুণ রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধে, খবর এলো মৃত্যুর ◈ ৬ মাসের শিশু রিকশা উল্টে নালায় পড়ে নিখোঁজ ◈ অনার্স পড়ুয়া ভাগ্নের প্রেমে পালালেন মামি, সন্তান ও স্বর্ণালঙ্কারসহ উধাও ◈ যুক্তরাষ্ট্রে শত শত শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল, এআই নিরীক্ষায় ভারতীয় ও বাংলাদেশিরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ◈ শনিবার থেকে গুলশানে বন্ধ হচ্ছে ব্যাটারি চালিত রিকশা চলাচল ◈ আওয়ামী লীগকে বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিষিদ্ধ করতে হবে: শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি ◈ কক্সবাজার-মহেশখালী নৌ রুটে সী ট্রাক চালু: পর্যটনে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন

প্রকাশিত : ১৫ এপ্রিল, ২০২৫, ১২:১১ দুপুর
আপডেট : ১৮ এপ্রিল, ২০২৫, ০৩:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ঢাকায় এসে ২০ জন জুলাইযোদ্ধার চোখে অস্ত্রোপচার করে দৃষ্টিশক্তি ফেরালেন ব্রিটিশ চিকিৎসকেরা

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লন্ডনের একটি বিশেষায়িত চক্ষু হাসপাতালের শল্যচিকিৎসকেরা গত বছরের গ্রীষ্মে বাংলাদেশে আন্দোলন চালাকালে আহত ২০ জনের বেশি বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর দৃষ্টি ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করেছেন।

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের আমন্ত্রণে বেশ কয়েকজন ব্রিটিশ শল্য চিকিৎসক ঢাকায় এসেছিলেন। তাঁদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল মূলত গত বছরের জুলাই-আগস্টে শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় চোখে আঘাত পাওয়া আন্দোলনকারীদের সুচিকিৎসা দেওয়ার জন্য। এরই মধ্যে ব্রিটিশ চিকিৎসকেরা অন্তত ২০ জন জুলাইযোদ্ধার দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দিয়েছেন।

মুরফিল্ডস আই হসপিটালের পরামর্শক চক্ষু বিশেষজ্ঞ মাহি মুকিত এবং নিয়াজ ইসলাম গত মাসে ঢাকা সফর করেন। এ সময় তাঁরা ১৪ থেকে ৩০ বছর বয়সী ১৫০ জন রোগীর পরিস্থিতি মূল্যায়ন করেন। ২০২৪ সালের জুলাইয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আয়োজিত বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার সময় ওই রোগীদের চোখে গুলির আঘাত লাগে। তাদের বেশির ভাগই গত বছর প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছিলেন।

মুরফিল্ডসের জ্যেষ্ঠ ভিটেরিওরেটিনাল পরামর্শক মাহি মুকিত বলেন, ‘এই মানুষদের সাহায্য করার জন্য আমন্ত্রিত হতে পেরে আমি সম্মানিত বোধ করছি। এটি আমাদের সবার জন্য এক ব্যাপক অভিজ্ঞতা ছিল।’ তিনি আরও বলেন, ‘যাদের দৃষ্টি মাসখানেক ধরে ক্ষীণ ছিল, তাদের দৃষ্টি ফিরিয়ে দিতে পারাটা এক বিশেষ সুযোগ।’

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের আমন্ত্রণে বিশেষজ্ঞ শল্য চিকিৎসকেরা দুই দিনে ২৪ জন রোগীর দৃষ্টি ফেরাতে অস্ত্রোপচার করেন। এ ছাড়া, যাদের অস্ত্রোপচার সম্ভব হয়নি, তাদের পুনর্বাসনের পরিকল্পনা দেওয়া হয়েছে।

মাহি মুকিত জানান, তিনি যেসব রোগীর চিকিৎসা করেছেন তাঁদের মধ্যে একজনের নাম রোহান। তাঁর দুই চোখেই গুলি লেগেছিল। তিনি বলেন, ‘তাঁর দুই চোখই অন্ধ হয়ে গিয়েছিল, যার মধ্যে একটি চোখের অবস্থা ছিল একেবারে আশাহীন। অন্য চোখে আমাদের অস্ত্রোপচার তাঁর রেটিনাল ডিটাচমেন্ট বা রেটিনার বিচ্যুতি ঠিক করেছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত টিস্যু সরিয়ে ফেলেছে। আমরা আশা করছি, অস্ত্রোপচারের পর তাঁর দৃষ্টি ক্রমশ উন্নত হবে।’

বিশেষজ্ঞরা আরও জানতে পারেন যে, মিনহাজ নামের ২০ বছর বয়সী এক রোগীর চোখে গত জুলাইয়ের ঢুকে পড়া বুলেট এখনো রয়ে গেছে। সেগুলো অপসারণ এবং এর ফলে চোখের যে ক্ষতি হয়েছে, তা সারিয়ে তোলার জন্য অস্ত্রোপচার প্রয়োজন হয়।

অনুমান করা হয়, ২০২৪ সালের জুলাই মাসের বিক্ষোভকালে প্রায় ১ হাজার মানুষ কোনো না কোনো ধরনের চোখের আঘাতে ভুগেছেন। ঢাকায় অবস্থিত জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে (এনআইওএইচ) প্রায় ৭০০ জন জরুরি চিকিৎসা নিয়েছেন। অনুবাদ: আজকের পত্রিকা

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়