শিরোনাম
◈ বাণিজ্য–ঘাটতি কমাতে বাংলাদেশ কী কী পদক্ষেপ নিতে চায়, জানতে চেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ◈ মেঘনার সহযোগী সমির সৌদি রাষ্ট্রদূতের কাছে ৫ মিলিয়ন ডলার দাবি করেন, পুলিশের প্রতিবেদন ◈ ডলারের ব্যাপক দরপতন, তেজি হয়ে উঠল সোনা ◈ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের হামলায় বিএনপির ৬ নেতা আহত, আটক ৩  ◈ মুসলিম দেশগুলো গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতির দাবিতে একমত ◈ সৌদি রাষ্ট্রদূত ও মডেল মেঘনার পরিচয় আট মাসের, চার মাসে ‘বাগদান’ ◈ ‘মহাকাশ প্রযুক্তিতে সহযোগিতা বাংলাদেশ-তুরস্কের জন্য লাভজনক হবে’ ◈ ডিসেম্বরে ভোট ঘিরে ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসি ◈ আজকের এই সমাবেশ কেবল প্রতিবাদ নয়,  একটি অঙ্গীকার, একটি শপথ ◈ আরও ৬ হাজার টন চাল এলো ভারত থেকে

প্রকাশিত : ১১ এপ্রিল, ২০২৫, ০৫:০০ বিকাল
আপডেট : ১৩ এপ্রিল, ২০২৫, ০৬:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ধূমপান ছাড়াও ফুসফুসে ক্যান্সার হওয়ার কিছু কারণ

বর্তমানে ফুসফুসের ক্যান্সার অন্যতম একটি প্রাণঘাতী রোগ। প্রতিবছর অসংখ্য মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হন। যদিও ধূমপান ফুসফুসের ক্যান্সারের প্রধান কারণ। তবুও আরও বেশ কিছু কারণ রয়েছে, যা এই রোগের ঝুঁকি অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়। রোগটি যদি প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত করা যায়, তাহলে তা নিয়ন্ত্রণ করা এবং বিপদের হাত থেকে বাঁচা সম্ভব।

জীবনধারা ও পরিবেশগত কিছু কারণের ভিত্তিতে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ছয় ধরনের ব্যক্তির অবশ্যই নিয়মিত ফুসফুসের ক্যান্সারের স্ক্রিনিং বা পরীক্ষা করানো উচিত।

দীর্ঘমেয়াদি ধূমপায়ী: যারা অনেক বছর ধরে ধূমপান করছেন, বিশেষ করে যাদের বয়স ৫০ বছরের বেশি, তাদের ফুসফুসের ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকটাই বেশি। এমনকি যারা ধূমপান ছেড়েছেন, তারাও এই ঝুঁকির বাইরে নন। তাই এ ধরনের ব্যক্তিদের নিয়মিত স্ক্রিনিং করানো উচিত।

কাঠের চুলায় রান্না করা: যারা জ্বালানি কাঠ বা অন্যান্য প্রাকৃতিক উপাদানে রান্না করেন, তাদের ফুসফুস ক্ষতির ঝুঁকিতে থাকে। এ ধরনের জ্বালানি পোড়ালে রেডন, অ্যাসবেস্টসের মতো ক্ষতিকর পদার্থ বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে। যা ফুসফুসে ক্যান্সার সৃষ্টি করতে পারে।

দূষিত পরিবেশে বসবাস: উচ্চ মাত্রার বায়ুদূষণযুক্ত এলাকায় বসবাস বা কাজ করলে ফুসফুস দীর্ঘদিন ধরে ক্ষতির শিকার হয়। এর ফলে ক্যান্সারের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাই এই পরিবেশে থাকা মানুষদেরও স্ক্রিনিং করানো গুরুত্বপূর্ণ।

পরোক্ষ ধূমপায়ী: যারা নিজেরা ধূমপান করেন না, কিন্তু ধূমপায়ীদের আশপাশে থাকেন, তারাও ধোঁয়ার মাধ্যমে ক্ষতির মুখে পড়েন। একে বলা হয় প্যাসিভ স্মোকিং বা পরোক্ষ ধূমপান। এটি ফুসফুসে ক্যান্সার হওয়ার একটি বড় কারণ।

পারিবারিক ইতিহাস: পরিবারে যদি কারো ফুসফুসের ক্যান্সার থেকে থাকে, তাহলে বংশগতভাবে সেই ঝুঁকি অন্য সদস্যদের মধ্যেও থাকতে পারে। বিশেষ করে যদি পরিবারে কেউ ধূমপায়ী থাকেন, তাহলে সতর্কতা আরো বেশি জরুরি।

ঝুঁকিপূর্ণ পেশা : যেসব পেশায় অ্যাসবেস্টস, আর্সেনিক, ডিজেল ধোঁয়া বা অন্যান্য রাসায়নিক পদার্থের সংস্পর্শে আসা হয়— যেমন খনিশ্রমিক, নির্মাণকর্মী বা কলকারখানার শ্রমিক— তাদের মধ্যে ফুসফুসের ক্যান্সারের সম্ভাবনা অনেক বেশি। তাই এসব পেশার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের নিয়মিত স্ক্রিনিং করানো উচিত।

মনে রাখা জরুরি যে ফুসফুসের ক্যান্সারসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য ও ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যঝুঁকি সম্পর্কে জানার জন্য অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। সূত্র : নিউজ ১৮ বাংলা

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়