শিরোনাম
◈ ঢাকার সঙ্গে যেসব ‘শর্তে’ সম্পর্ক চাইছে দিল্লি ◈ ৩১ হাজার বাংলাদেশির মালয়েশিয়া থেকে ফিরতে নিবন্ধন ◈ বড়পুকুরিয়া খনির ১৪১৪ ফেইস থেকে  ৪.৮১ লক্ষ টন কয়লা উত্তোলন হয়েছে ◈ দেশে ‘মাইনাস টু ফর্মুলা’ সম্ভব হবে না : ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ◈ ১২৭দিন পর ১৩ বন্দিকে নিয়ে সচল করা হলো শেরপুর জেলা কারাগার ◈ তথ্য উপদেষ্টা নাহিদের বক্তব্য নিয়ে ধোঁয়াশা, জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রত্যাহার ◈ চার ফিফটিতে বাংলাদেশের রেকর্ডগড়া সংগ্রহ ◈ দেশের রিজার্ভ বেড়ে ১৯ বিলিয়নের ঘরে ◈ ভারতীয় কোস্টগার্ডের হাতে আটক বাংলাদেশি নাবিকদের ফেরানো হবে: পররাষ্ট্র সচিব ◈ ঢাকার সঙ্গে গাজীপুরবাসীর যোগাযোগ আরও সহজ করতে চালু হচ্ছে ৪ জোড়া কমিউটার ট্রেন

প্রকাশিত : ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৭:২৯ বিকাল
আপডেট : ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০২:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

 ১০টি ক্ষতিকর দিক পিংক সল্ট বা বিট লবণের

পিংক সল্ট বা বিট লবণকে অনেকেই স্বাস্থ্যকর বলে মনে করেন। তবে এর কিছু নেতিবাচক দিকও রয়েছে, যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। 

অতিরিক্ত সোডিয়াম : পিংক সল্টেও সাধারণ লবণের মতোই উচ্চমাত্রার সোডিয়াম থাকে। এটি অতিরিক্ত খেলে রক্তচাপ বাড়তে পারে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি তৈরি হতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড টি এইচ চ্যান স্কুল অব পাবলিক হেলথের পুষ্টিবিদ ড. জেনিফার ব্রাউনের মতে, ‘পিংক সল্টে সোডিয়ামের মাত্রা সাধারণ লবণের মতোই উচ্চ। অতিরিক্ত সোডিয়াম গ্রহণ উচ্চ রক্তচাপ এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই পিংক সল্ট ব্যবহারে সতর্ক থাকা উচিত।’

কিডনির ওপর প্রভাব : সোডিয়ামের উচ্চমাত্রা কিডনির কার্যক্ষমতায় বাধা সৃষ্টি করে।

দীর্ঘ মেয়াদে এটি কিডনি ক্ষতির কারণ হতে পারে।

ডিহাইড্রেশন বা পানিশূন্যতা : বেশি পরিমাণে পিংক সল্ট গ্রহণ শরীরে পানির ভারসাম্য নষ্ট করে দিতে পারে, ফলে ডিহাইড্রেশনের সমস্যা দেখা দেয়।

পেটের সমস্যা : পিংক সল্ট বেশি খেলে পেটের অস্বস্তি, অ্যাসিডিটি, এবং গ্যাসের সমস্যা হতে পারে।
 
মাইক্রো-পলিউট্যান্টস : পিংক সল্টে ছোট পরিমাণে ভারী ধাতু এবং দূষক পদার্থ থাকতে পারে, যা দীর্ঘমেয়াদে শরীরের ক্ষতি করতে পারে।

পরিমিত ব্যবহারের অভাব : অনেকে পিংক সল্টকে ‘স্বাস্থ্যকর’ মনে করে বেশি পরিমাণে খেয়ে ফেলেন। এটি শরীরের সোডিয়ামের মাত্রা অস্বাভাবিকভাবে বাড়িয়ে দেয়।
 
রক্তের ভারসাম্য নষ্ট : পিংক সল্ট শরীরের ইলেকট্রোলাইট ভারসাম্য নষ্ট করে, যা ক্লান্তি, মাথা ঘোরা, এবং দুর্বলতার কারণ হতে পারে।

অতিরিক্ত খরচ কিন্তু সামান্য সুবিধা : পিংক সল্ট সাধারণ লবণের চেয়ে অনেক বেশি দামে বিক্রি হয়, কিন্তু এতে বাড়তি কোনো স্বাস্থ্যগত সুবিধা নেই। এটি শুধু পয়সার অপচয়।

আসল পিংক সল্ট পাওয়া কঠিন : বাজারে পাওয়া অনেক পিংক সল্ট আসলে ভেজাল। এতে সাধারণ লবণের চেয়েও বেশি ক্ষতিকর উপাদান থাকতে পারে।

ওজন কমানোর মিথ : অনেকে মনে করেন পিংক সল্ট ওজন কমাতে সাহায্য করে, যা আসলে ভিত্তিহীন। এটি বেশি খেলে ওজন কমানোর পরিবর্তে শরীরে সমস্যা বাড়াতে পারে।

পিংক সল্ট নিয়ে ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়ার নিউট্রিশন সায়েন্সের অধ্যাপক ড. মাইকেল জনসন ডেভিস বলেন, ‘পিংক সল্টে আয়োডিনের পরিমাণ কম থাকে। ফলে দীর্ঘ মেয়াদে আয়োডিনের অভাবজনিত সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে, যেমন গলগণ্ড রোগ। তাই আয়োডিনের পর্যাপ্ততা নিশ্চিত করতে আয়োডিনযুক্ত লবণ ব্যবহার করা উচত।’ সূত্র : স্মিথসনিয়ান ম্যাগাজিন ও কালের কণ্ঠ।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়