শিরোনাম
◈ করফাঁকির কারণে ২০২৩ সালে ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব হারিয়েছে সরকার: সিপিডি ◈ দেশে তিন স্তরে কমছে ইন্টারনেটের দাম ◈ অবৈধ অভিবাসীদের সহায়তাকারীদের মার্কিন দূতাবাসের হুঁশিয়ারি ◈ সতর্ক সংকেত জারি, আজ বজ্রপাতে মৃত্যুর ঝুঁকি খুবই বেশি ◈ পলাতক সাবেক মন্ত্রী-এমপিরা যুক্তরাজ্যে আ.লীগ নেতার ছেলের বিয়েতে  ◈ বিএনপির নতুন রাজনৈতিক মেরুকরণ: বাম দলগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের চেষ্টা ◈ হাথুরুসিংহে ও তার দুই সহকারী ‘নাসুমকে চড় মারা’ প্রসঙ্গে যা বললেন ◈ অ্যাঞ্জেলিনা জোলির সমর্থন গাজার প্রতি, ইসরায়েলি হামলাকে বললেন ‘গণকবরের মতো ধ্বংসযজ্ঞ’ ◈ গুরুতর অসুস্থ ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক, হাসপাতালে ভর্তি ◈ প্রাইমএশিয়া শিক্ষার্থী পারভেজ হত্যা: ৩ জন আটক

প্রকাশিত : ০৫ নভেম্বর, ২০২৪, ০১:৪১ রাত
আপডেট : ১৫ এপ্রিল, ২০২৫, ০৬:০০ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ডাবের পানি যাদের জন্য হতে পারে বিপদের কারণ

ডাবের পানি একটি প্রাকৃতিক ও স্বাস্থ্যকর পানীয় হিসেবে প্রচলিত। এটি শরীরকে ঠাণ্ডা রাখে, দ্রুত হাইড্রেশন জোগায় এবং এতে নানা পুষ্টিগুণ থাকে যা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। তবে সবার জন্য এই পানীয় উপযোগী নয়। কিছু মানুষের জন্য ডাবের পানি বিপদের কারণ হতে পারে। আসুন, জেনে নিই যাদের ডাবের পানি পান করা থেকে সাবধান থাকা উচিত।

১. ডায়াবেটিস রোগীরা : ডাবের পানিতে প্রাকৃতিক শর্করা (গ্লুকোজ এবং ফ্রুকটোজ) থাকে, যা ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। ডায়াবেটিস রোগীদের এটি নিয়মিত বা অতিরিক্ত পান করা ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। যদিও এর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এটি এড়িয়ে চলাই ভালো।

২. পটাশিয়াম বেড়ে গেলে (হাইপারকালেমিয়া) : ডাবের পানি পটাশিয়ামের একটি ভাল উৎস, যা সাধারণত হার্ট ও কিডনির জন্য উপকারী। তবে যাদের রক্তে পটাশিয়ামের মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি (হাইপারকালেমিয়া), তাদের জন্য এটি বিপদজনক হতে পারে। বেশি পটাশিয়াম হৃদযন্ত্রের সমস্যা তৈরি করতে পারে, এমনকি হার্ট অ্যারিথমিয়ার মতো গুরুতর পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে।

৩. কিডনি রোগীরা : যাদের কিডনির সমস্যা আছে, তাদের ডাবের পানিতে থাকা অতিরিক্ত পটাশিয়াম কিডনির কার্যকারিতা হ্রাস করতে পারে। কিডনি যথাযথভাবে পটাশিয়াম নিষ্কাশন করতে না পারলে তা রক্তে জমা হয়, যা স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।

৪. রক্তচাপ কমে গেলে (হাইপোটেনশন) : ডাবের পানি প্রাকৃতিকভাবে রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। যাদের রক্তচাপ স্বাভাবিকের চেয়ে কম থাকে বা হাইপোটেনশনের সমস্যা আছে, তাদের ডাবের পানি পান করা ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। এটি রক্তচাপ আরও কমিয়ে দিয়ে মাথা ঘোরা, দুর্বলতা বা অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা তৈরি করতে পারে।

৫. অ্যালার্জি সমস্যা : যদিও ডাবের পানি খুব সাধারণ পানীয় এবং বেশিরভাগ মানুষ এটি সহজেই সহ্য করতে পারেন, তবু কিছু মানুষের জন্য এটি অ্যালার্জির কারণ হতে পারে। বিশেষত নারকেলের প্রতি যারা সংবেদনশীল, তাদের ডাবের পানি পান করলে ত্বকে ফুসকুড়ি, চুলকানি, শ্বাসকষ্ট বা গলা ফোলার মতো সমস্যা হতে পারে।

৬. হৃদযন্ত্রের রোগী : ডাবের পানির উচ্চ পটাশিয়াম হৃদযন্ত্রের উপর অতিরিক্ত চাপ তৈরি করতে পারে। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, যারা হৃদযন্ত্রের রোগে ভুগছেন, তাদের জন্য বেশি পটাশিয়াম হৃদযন্ত্রের সংকোচন প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করতে পারে। তাই হৃদযন্ত্রের সমস্যা থাকলে এটি নিয়মিত পান করা থেকে বিরত থাকা উচিত।

৭. অতিরিক্ত ইলেকট্রোলাইট সমস্যায় ভুগছেন যারা: ডাবের পানিতে ইলেকট্রোলাইট সমৃদ্ধ উপাদান থাকে, যা শরীরের জন্য ভালো। কিন্তু যাদের শরীরে ইতিমধ্যে ইলেকট্রোলাইট ভারসাম্যহীনতা (ইলেকট্রোলাইট ইম্ব্যালেন্স) আছে, তাদের ডাবের পানি পান করা বিপজ্জনক হতে পারে। এতে শরীরে ইলেকট্রোলাইটের মাত্রা আরও বাড়তে পারে, যা স্নায়ু ও পেশীতে সমস্যা তৈরি করতে পারে।

ডাবের পানি স্বাস্থ্যকর হলেও, সবার জন্য তা উপযোগী নয়। বিশেষত ডায়াবেটিস, কিডনি সমস্যা, হৃদরোগ ও অ্যালার্জি সমস্যায় ভুগছেন এমন ব্যক্তিদের এটি পান করার আগে সতর্ক থাকতে হবে। তাই নিজের শারীরিক অবস্থা অনুযায়ী চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ডাবের পানি গ্রহণ করা উচিত, যাতে বিপদ এড়ানো যায়। উৎস: জীবনস্টাইল।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়