বাংলাদেশের অকালমৃত্যুর অন্যতম বড় কারণ বোধহয় স্ট্রোক বা মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণ। এমনকি বয়স্কদের মৃত্যুরও অন্যতম কারণ এই রোগ। কিন্তু আপনি যদি একটু নিয়ম মেন চলেন, তাহলে এড়াতে পারন জীবনঘাতি এই রোগটাকে।
জেনে নেওয়া যাক, এ বিষয়ে দশটি পরামর্শ:
স্বাস্থ্যকর খাদ্যগ্রহণ করুন: আপনার খাদ্য তালিকায় ফল, সবজি, গুঁড়ো শস্য এবং কম চর্বিযুক্ত প্রোটিন অন্তর্ভুক্ত করুন।
লবণ এবং চিনি কম খান এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার থেকে দূরে থাকুন। স্বাস্থ্যকর খাদ্য হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
নিয়মিত ব্যায়াম করুন: প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিটের জন্য শারীরিক কার্যক্রম করুন। হাঁটা, দৌড়ানো, সাইক্লিং বা সুইমিং—এ ধরনের যে কোনও ব্যায়াম শরীরের জন্য ভালো।
এটি আপনার হৃদপিণ্ডের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করে। মস্তিষ্কও ভালো রাখে।
ধূমপান ও মদ্যপান ছেড়ে দিন: ধূমপান স্ট্রোকের অন্যতম প্রধান কারণ। ধূমপান হার্ট ও ফুসফুসের মতো মস্তিষ্ককেও ধ্বংস করে দেয় নিয়মিত ধূমপান।
তাই আজই ধূমপান ছেড়ে দিন। ধূমপান ছাড়লে আপনার শরীর ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠবে।
অতিরিক্ত মদ্যপান হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই অ্যালকোহলের পরিমাণ সীমিত করুন। সম্ভব হলে একেবারে ছেড়ে দিন।
কোলোস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখুন: কোলেস্ট্রেরল অনিয়ন্ত্রিত মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। যেমন: উচ্চমাত্রার এইচডিএল কোলেস্ট্রেরল যেমন শরীরের জন্য ভালো, তেমনি এলডিএল কোলেস্ট্রেল শরীরের জন্য ক্ষতিকর। তাই নিয়মিত রক্তে কোলেস্ট্রেলেরে মাত্রা পরীক্ষা করুন।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখুন: উচ্চ রক্তচাপ স্ট্রোকের অন্যতম প্রধান কারণ। রক্তচাপ নিয়মিত মাপুন এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করুন: ডায়াবেটিস স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়। আপনার রক্তের শর্করার পরিমাণ নিয়মিত পরীক্ষা করুন এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খাবার ও ব্যায়াম করুন।
ওজন নিয়ন্ত্রণ করুন : অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতা স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়। স্বাস্থ্যকর খাদ্য ও নিয়মিত ব্যায়ামের মাধ্যমে আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
স্ট্রেস কমান : অতিরিক্ত মানসিক চাপ বা স্ট্রেস স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়। যোগব্যায়াম, মেডিটেশন, বা হালকা ব্যায়ামের মাধ্যমে স্ট্রেস কমানোর চেষ্টা করুন।
নিয়মিত চিকিৎসকের পরমার্শ নিন : নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করালে স্বাস্থ্য সমস্যা করে চিকিৎসকের পরমার্শ মোতাবেক চললে স্ট্রোক এড়িয়ে চলা সম্ভব।
পরিবারে স্বাস্থ্য ইতিহাস জানুন : আপনার পরিবারের মধ্যে যদি স্ট্রোক ইতিহাস থাকে, তবে তা সম্পর্কে জানুন এবং আপনার। স্ট্রোকের পারিবারিক ইতিহাস আপনার জন্য ঝুঁকি হতে পারে। তাই স্ট্রোক বিষয়ক সতর্কতাগুলি আরও বাড়ান।
স্ট্রোক থেকে বাঁচার জন্য সচেতনতা এবং কিছু স্বাস্থ্যকর অভ্যাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ওপরের টিপসগুলো অনুসরণ করলে আপনি স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে পারবেন।
সূত্র: ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ, যক্তরোষ্ট্র
আপনার মতামত লিখুন :