শাহীন খন্দকার: [২] জনগণ এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য টেকসই উন্নয়ন ও তাদের জীবনমান উন্নয়নে সকলকে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হওয়ার তাগিদ দিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
[৩] মাতৃস্বাস্থ্য, টিকাদান, শিশু স্বাস্থ্য, নবজাতকের পরিচর্যা, কমিউনিটি হেলথসহ স্বাস্থ্যসেবা খাতের বিভিন্ন পর্যায়ে জনগণের স্বাস্থ্যের সামগ্রিক উন্নতিতে এ সহযোগিতা ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে। রবিবার (৭ জুলাই) রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে পার্টনারস ইন পপুলেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট-এর ৩৯তম নির্বাহী কমিটির সভা ও ২৭তম বোর্ড কমিটির সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
[৪] পার্টনারস ইন পপুলেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (পিপিডি) একটি আন্তঃসরকারি সংগঠন, যা সদস্য রাষ্ট্রসমূহের মধ্যে জনসংখ্যাজনিত ও উন্নয়নভিত্তিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কাজ করে থাকে। বাংলাদেশ সরকার আয়োজিত এ সভায় পিপিডির সদস্য রাষ্ট্রের ২৩টি দেশের মন্ত্রী ও সহযোগী সমন্বয়কারীরা অংশ গ্রহণ করেন।
[৫] সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, পিপিডির সদস্য রাষ্ট্রসমূহের মধ্যে দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতা, অংশীদারিত্ব, নেটওয়ার্কিং, যুগোপযোগী উদ্ভাবন এবং প্রযুক্তি স্থানান্তরে সহযোগিতা আগের চেয়ে বেশি প্রয়োজন। উদ্ভূত নানা সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমরা সদস্য রাষ্ট্রসমূহ একসঙ্গে কাজ করলে যথাযথ সমাধান খুঁজে পাব।
[৬] ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, প্রজনন স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা এবং উন্নয়নের সেরা দৃষ্টান্তসমূহ আদানপ্রদান করা উচিত। যাতে আমরা একে অপরের কাছ থেকে শিখে পারস্পারিকভাবে লাভবান হতে পারি। জনসংখ্যা ও উন্নয়নভিত্তিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে পিপিডির সদস্য দেশগুলোতে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করা এবং সদস্য দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতা দৃঢ় করার প্রতিশ্রুতির মাধ্যমে নির্বাহী কমিটির সভা সমাপ্ত হয়।
[৭] সভায় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আজিজুর রহমান, পিপিডি বোর্ডের সেক্রেটারি মোহাম্মদ দোয়াগি, চায়না স্বাস্থ্য কমিশনের উপ-মহাপরিচালক লি ওয়েইসহ ইন্দোনেশিয়া, বেনিন, তিউনেশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে মন্ত্রীপর্যায়ের ব্যক্তিবর্গ এবং উচ্চপদস্থ সরকারী কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সম্পাদনা: কামরুজ্জামান
এসকে/কে/এনএইচ
আপনার মতামত লিখুন :