শাহীন খন্দকার: [২] বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কনভেনশন হলে প্রান্তিক পর্যায়ে সঠিক রোগ নির্ণয় ও সেবা কার্যক্রম ছড়িয়ে দিতে প্যারাক্লিনিক্যাল সাইন্স’র শিক্ষক, চিকিৎসকদের নিয়ে বাংলাদেশ সোসাইটি অব প্যাথলজিস্ট এর ৩২তম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা বলেন, এ্যানেসথেশিওলজিস্ট ও প্যাথলজিস্টরা পর্দার আড়ালে থেকে কাজ করেন বলেই তাদের বিষয়টা মানুষ সেভাবে জানতে পারেনা।
[৩] মন্ত্রী বলেন, কিন্তু ফিজিশিয়ান্স ও সার্জনদের মাধ্যমে রোগীদেরকে সঠিকভাবে চিকিৎসাসেবা দেয়ার ক্ষেত্রে রোগ নির্ণয়সহ প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানে এ্যানেসথেশিওলজিস্ট ও প্যাথলজিস্টদের ভূমিকা অপরিহার্য। অর্জিত জ্ঞান সঠিকভাবে রোগ নির্ণয়, উদ্ভাবনী চিকিৎসা ও রোগী কল্যাণের দিক তরান্বিত করবে এবং জটিল চিকিৎসা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ব্যাপক পরিসর তৈরি হবে।
[৪] সম্মেলনে প্রধান অতিথি স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন থাকার কথা থাকলেও তিনি চট্টগ্রামের একটি অনুষ্ঠানে থাকায় উপস্থিত ছিলেন না। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হক বলেছেন, সুপার স্পেশালাইজড হাসাপাতাল সম্পূর্ণরূপে চালু করতে বিদ্যমান আইনে নতুন সংযোজন প্রয়োজন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যাশা অনুযায়ী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে রেখে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে দেশি বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সংযুক্ত করা, প্রয়োজনীয় দক্ষ জনবল নিয়োগ দেওয়াসহ অপরিহার্য কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য বিদ্যমান আইনে নতুন সংযোজন প্রয়োজন হবে।
[৫] বিশেষ করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়কে সুপার স্পেশাইলাজড হাসপাতালের মতো শুধুমাত্র সেবামূলক এক বা একাধিক বিশেষ হাসপাতাল চালু করতে হলে সে বিষয়ে আইনগতভাবে নতুন সংযোজনের মাধ্যমে অত্র বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রয়োজনীয় ক্ষমতা প্রদান করতে হবে। এই কার্যক্রম বাস্তবায়নে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসন প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিয়েছে। উপাচার্য আরও বলেন, ইতিমধ্যে মাননীয় প্রধান বিচারপতি, এ্যাটর্নি জেনারেলসহ সংশ্লিষ্টদের সাথে এ বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
[৬] শনিবার (৬ জুলাই) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কনভেনশন হলে প্রান্তিক পর্যায়ে সঠিক রোগ নির্ণয় ও সেবা কার্যক্রম ছড়িয়ে দিতে প্যারাক্লিনিক্যাল সাইন্স এর শিক্ষক, চিকিৎসকদের নিয়ে বাংলাদেশ সোসাইটি অব প্যাথলজিস্ট এর ৩২তম জাতীয় সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে উপাচার্য একথা বলেন।
[৭] এসময় তিনি আরো বলেন, সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের কোনো যন্ত্রপাতিই এখন পর্যন্ত নষ্ট হয়নি। তাই এটা নিয়ে বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ প্রচার না করার জন্য সাংবাদিকদের প্রতি অনুরোধ করছি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ সোসাইটি অব প্যাথলজিস্ট এর সভাপতি অধ্যাপক ডা. এএন নাসিম উদ্দিন আহমেদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ডা. শাহ মনির হোসেন। সম্মেলনে দ্বিতীয় পর্যায়ে ছিল বৈজ্ঞানিক অধিবেশন।
[৮] বক্তারা বলেন, সম্মেলনের মূল বিষয় ছিল প্যারাক্লিনিক্যাল অনুষদের বায়োকেমিস্ট্রি, ল্যাবরেটরি মেডিসিন, মাইক্রোবায়োলজি, প্যাথলজি ও ভাইরোলজি একিভুত করা। জেলা, উপজেলা পর্যায়ে যদি ল্যাবরেটরি বিশেষজ্ঞ থাকে তাহলে রোগীদের ঢাকায় আসার প্রয়োজন হবে না।
[৯] বক্তারা আরও বলেন, বর্তমানে ৩৭টি সরকারী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল আছে, বেসরকারী পর্যায়ে রয়েছে ৬৭টি মেডিক্যাল কলেজ। তাতে ছাত্র-ছাত্রী পড়ানোর মতো শিক্ষকসহ প্রয়োজনী জনবল নাই। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কমিউনিটি ক্লিনিকের উদ্দেশ্য হলো স্বাস্থ্য সেবা জনগণের দোড় গোড়ায় পৌঁছে দেওয়া।
[১০] জনগণের দোড় গোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছাতে হলে অবশ্যই প্রান্তিক পর্যায় থেকেই সঠিক রিপোট তৈরি করে সঠিক রোগ নির্ণয়ের ব্যবস্থা থাকতে হবে। আর এই কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে হলে প্যারাক্লিনিক্যাল অনুষদের সকল বিভাগগুলো যেমন বায়োকেমিস্ট্রি,ল্যাবরেটরি মেডিসিন, মাইক্রোবায়োলজি, প্যাথলজি ও ভাইরোলজি বিষয়ে শিক্ষকসহ প্রয়োজনীয় জনবল তৈরি ও নিয়োগের কোনো বিকল্প নাই। সম্পাদনা: কামরুজ্জামান
এসকে/কে/একে
আপনার মতামত লিখুন :