শাহীন খন্দকার: [২] স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে,অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিড-১৯ টিকা কোভিশিল্ড নেওয়ার পর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নমুনা সীমিত পরিসরে দেখা দিয়েছে। অধিদপ্তর বলছে মাঠ পর্যায়ে এই বিষয়ে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছে দেওয়া হচ্ছে।
[২] এদিকে টিকা বিশেষজ্ঞরা বলছেন,তথ্য-উপাত্তের ঘাটতি সঠিক পরিসংখ্যান আসবে না। এই টিকার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায় ভুক্তভোগী ও চিকিৎসায় স্বাস্থ্য বিভাগকে এগিয়ে আসার জোরদাবী জানিয়েছেন, বিশেষজ্ঞরা। ৭১ টিভি সংবাদে প্রকাশ,করোনা মহামারী সময়ে অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড টিকা নেয়ার পর থেকে শারীরিক নানা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় ভুগছেন বাগেরহাট জেলা ৭১ টিভি নিজস্ব প্রতিবেদক বিষ্ণু প্রসাদ চক্রবর্ত্তী।
[৩] বিষ্ণু প্রসাদ চক্রবর্ত্তী জানিয়েছেন,২০২১ সালের ৭ ফেব্রুয়ারিতে বাগেরহাটের টিকা নেয়ার এক ঘণ্টা পরই শুরু হয় তার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। তিনি বলেন,প্রথমে পুরো শরীরে জ্বালাপোড়ার পাশাপাশি দেখা দেয় শ্বাসকষ্ট, কমে যায় হৃৎস্পন্দন। শরীরের নানান অংশে রক্ত জমাট বাধতে শুরু করে। ইতিমধ্যে একাধিকবার ভারতে চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি।
[৪] অ্যাস্ট্রিজেনিকা টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার গবেষণায় যে তথ্য উঠে এসেছে তার প্রায় সবগুলোই আছে বিষ্ণুর শরীরে। বিশ্বব্যাপী অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা প্রত্যাহারের ঘোষণা এলেও বিষ্ণুর বিষয়ে কী হবে তা জানা নেই। ভুক্তভোগী বিষ্ণু প্রসাদ চক্রবর্ত্তী বিষয়টি উল্লেখ করে বলেন, টিকা নেয়ার এক ঘণ্টা পর থেকেই আমার সমস্যা শুরু হয়। তবে, চিকিৎসকরা আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু বলেননি।
[৫] এদিকে বাংলাদেশের মানুষকে সাড়ে ৫ কোটির বেশি ডোজ অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা দেয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, এই টিকা গ্রহণের পর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার অভিযোগ অতি নগণ্য। তারপরেও টিকা গ্রহণকারীদের দেহে দীর্ঘমেয়াদি কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
[৬]স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ডা. আহমেদুল কবীর বলেন, প্রতিটা ডিভিশনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) যারা আছেন, আমরা তাদের সাথে এ নিয়ে আলোচনার চেষ্টা করছি। টিকা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা গ্রহণে প্রতি ৫০ হাজারে এক জনের এমন উপসর্গ দেখা দিতে পারে। আর, সেগুলো দেখা যাবে টিকা গ্রহণের ৬ সপ্তাহের মধ্যে।
[৭] ৭১ টিভি সংবাদ সূত্রে আরও জানাগেছে,পরিসংখ্যান খুঁজতে মাঠ পর্যায়ে আরও মনোযোগী হতে হবে বলছেন তারা। গ্যাভির সিএসও স্টিয়ারিং কমিটির ভাইস চেয়ার ডা. নিজাম উদ্দিন আহমেদ মনে করেন,স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করতে হবে। তাহলে করোনার মতো কোনো অবস্থায় মানিয়ে নেয়া যাবে।এর-ই মধ্যে বাংলাদেশে ওই টিকার ব্যবহার বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সম্পাদনা: কামরুজ্জামান
এসবি২