শাহীন খন্দকার: [২] স্বাস্থ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. সামন্ত লাল সেন আরও বলেছেন, এখন পর্যন্ত কোনো উপসর্গ পাওয়া যায়নি। তবে স্বাস্থ্য বিভাগ তৎপর রয়েছে।
[৩] বুধবার (৮ মে) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। অধ্যাপক ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, সম্প্রতি সারাবিশ্বে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার পার্শ¦ প্রতিক্রিয়া দেখা দেওয়ায় টিকা প্রত্যাহার করেছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা। তিনি বলেন,আমি এটা জানার পরে ইতোমধ্যেই ডিজি হেলথকে নির্দেশনা দিয়েছি এবং তারা এটা জরিপ করছে। মানে যাদেরকে এই টিকা দেওয়া হয়েছে তাদের ওপর জরিপ করে আমাকে রিপোর্ট দেবে।
[৪] সিরডাপ মিলনায়তনে বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিংয়ের আয়োজনে এবং ইউনিসেফ ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের কৌশলগত অংশীদারত্বে সর্বজনীন স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতকরণে টিকাদান কর্মসূচি শক্তিশালী করার লক্ষ্যে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
[৫] স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সংসদ সদস্যদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় টিকাদান কর্মসূচি শতভাগ সফল করার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশেও প্রচুর মানুষকে আ্যাস্ট্রাজেনিকার টিকা দেওয়া হয়েছে।
[৬] ডেঙ্গু সংক্রমণ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গু চিকিৎসায় যেন কোনো সরঞ্জাম সংকট তৈরি না হয় এবং দাম না বাড়ে সে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।ডেঙ্গু সংক্রমণ বাড়লে হাসপাতালগুলোকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশনা দিয়েছি।
[৭] বর্ষায় ডেঙ্গু নিয়ে পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন,এটা নিয়ে আমার আবেগ আছে,ডেঙ্গুতে আমার মাকে হারিয়েছি। আমি ওষুধ কোম্পানিগুলোর সঙ্গে মিটিং করেছি তারা দামও বাড়াবে না। তিনি বলেন, গত দেড় দশকে বাংলাদেশ স্বাস্থ্য খাতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে।
[৭.১] বিশেষ করে মাতৃমৃত্যু, শিশুমৃত্যু রোধ এবং টিকাদান কার্যক্রমে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিটি শিশুর টিকাপ্রাপ্তি নিশ্চিতকরণে অঙ্গীকারবদ্ধ। ইতোমধ্যে টিকাদান কার্যক্রমের সফলতায় প্রধানমন্ত্রী ভ্যাকসিন হিরো সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন।
[৮] এসময়ে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত ডিজি আহমেদুল কবীর , সংসদ সদস্য মো. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী, অনিমা মুক্তি গোমেজ, ফরিদা ইয়াসমিন ও দ্রোপদী দেবী আগারওয়াল। উপস্থিত ছিলেন ইউনিসেফ বাংলাদেশের চিফ অব হেলথ মায়া ভ্যানডেনেন্ট, ইউনিসেফ বাংলাদেশের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ (টিকাদান) ডা. রিয়াদ মাহমুদ, গ্লোবাল ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্সের (গ্যাভি) পূর্ব-এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রধান স্যাম মুলার, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি বর্ধন জং রানা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইন ডিরেক্টর (এমএনসি ও এএইচ) মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন প্রমুখ। সম্পাদনা: সমর চক্রবর্র্র্তী
এসবি২
আপনার মতামত লিখুন :