শাহীন খন্দকার: [১] ঢাকাসহ এই ৪ বিভাগে হিট অ্যালার্ট জারি করার পর প্রধানমন্ত্রীর ব্যাক্তিগত চিকিৎসক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ বলেন, বাইরের তাপমাত্রা আমাদের শরীরের তাপমাত্রাকে বাড়িয়ে দেয়। এতে একাধিক সমস্যা দেখা দেয়। হঠাৎ শরীর এই তাপমাত্রার পরিবর্তন মেনে নিতে পারে না। ফলে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ কঠিন হয়ে পড়ে।
[২] তিনি আরও বলেন, এর ফলে অতিরিক্ত গরমে ডিহাইড্রেশন এর মতো নানা সমস্যা দেখা দেয়। শরীরের প্রয়োজনীয় ফ্লুইড দ্রুত শুকিয়ে যায়।তীব্র তাপ-প্রবাহের কারণে মাথাব্যথা দেখা দিতে পারে। হতে পারে হিটস্ট্রোকসহ মাথা ঘোরা, নিম্ন ও উচ্চ রক্তচাপ, বমি বমি ভাব, বমি হতে পারে। এমনকি তীব্র গরমে মানুষ অজ্ঞানও হয়ে পড়তে পারে।
[৩] এই মেডিসিন বিশেষজ্ঞ বলেন, প্রতিটি মানুষের শরীরে ৭০ শতাংশই পানি। অত্যাধিক তাপ-প্রবাহের কারণে দেহ থেকে জলীয় অংশের পরিমাণ কমে যায়। তাই এই সময়ে প্রচুর পানি, লেবুর শরবত, স্যালাইন ও তরল খাবার খেতে হবে। তেল-মশলা জাতীয় খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে।
[৪] তিনি পরামর্শ দিয়ে বলেন,শরীরের কোনো অংশে সরাসরি রোদ লাগানো যাবে না। বাইরে বের হওয়ার সময় ঢিলেঢালা পোশাক পরতে হবে, সানগ্লাস ও ছাতা ব্যবহার করতে হবে। রাস্তার চারিপাশে খোলা খাবার হতে বিরত থাকতে হবে।পূর্ণবয়স্কদের দিনে ৩-৩.৫ লিটার সুপেয় পানি পান করা উচিত। তবে কিডনি রোগীদের অবশ্যই ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে পানির পরিমাণ নির্ধারণ করতে হবে। গরমে লেবু বা ফলের শরবত খাওয়া খুবই উপকারী। ডাবের পানিও খুব দারুণ কার্যকর। এসব পানীয় খুব সহজেই শরীরের পানির চাহিদা পুরণ করবে। ডাবের পানি ও ফলের শরবত খেলে পানির পাশাপাশি প্রয়োজনীয় খনিজ লবণের চাহিদাও পুরণ হবে। কাঁচা পেঁপে, পটোল, ধুন্দল, শসা,চিচিঙ্গা,গাজর,লাউ,পেঁপে, পালংশাক, টমেটো, শসায় পানির পরিমাণ বেশি থাকে।
[৬] তিনি পরামর্শ দিয়ে আরও বলেন,তাই পানিশূন্যতা দূর করতে এই খাবারগুলো অবশ্যই খাবার তালিকায় রাখার চেষ্টা করুন পাতলা করে রান্না করা টক ডাল, শজনে ডাল শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। কাঁচা আম খুবই ভালো পানিশূন্যতা দূর করার জন্য। কাঁচা আমে আছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম। এ ছাড়া ভিটামিন সি ও ম্যাগনেশিয়ামও আছে, যা শরীর ঠান্ডা রাখতে সহায়তা করে। তরমুজ শরীর ঠান্ডা করতে সাহায্য করে। সম্পাদনা: সমর চক্রবর্তী
আপনার মতামত লিখুন :