জালালুর রহমান : মৌলভীবাজারের জুড়ীতে টানাকয়েকদিনের প্রবলবর্ষণ পাহাড়ি ঢলে জুড়ী উপজেলার বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। বন্যারফলে, উপজে লার প্রায় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি। মানুষজন গরুবাছুর, হাঁস, মুরগিসহ অন্যান্য প্রাণীনিয়ে দূর্ভোগের সাথে দিনাতিপাত করছেন। অত্রাঞ্চলের বন্যার পানি দিনদিন বৃদ্ধি পাওয়ায় পরিস্থিতি এখন ভয়াবহতার রূপধারন করে।
বর্তমানে উপজেলার প্রায় ৯০ ভাগ মানুষ অসহায় ও দূর্ভোগের সাথে যুদ্ধ করে কোনোরকমে বেঁচেআছেন। এ পরিস্থিতিতে সরকারের পক্ষ থেকে যতটুকু ত্রাণ সহায়তার দরকারতা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। বন্যার্তদেরজন্য প্রসাশনের পক্ষ থেকে যতটুকু সহযোগীতার প্রয়োজনতা তাদের পক্ষ থেকে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করছেন নাবলে অভিযোগ অত্রাঞ্চলের বন্যার্তদের অনেকের।
বন্যার পানি দিনদিন এতই বৃদ্ধি পাচ্ছে যে, অত্রাঞ্চলের বেশিরভাগবাড়ি-ঘর, রাস্তা-ঘাট, হাট-বাজার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ-মন্দিরসহ বিভিন্ন স্থানতলিয়ে গেছে। বন্যায় শত শত ফিশারীরমাছ পানিতে ভেসে গেছে। আর খামারীসহ অন্যান্য মানুষের গরু-বাছুরনিয়ে থাকার ব্যবস্থা দূরহ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।
অত্রাঞ্চলের বেশিরভাগ মানুষজন মাথা পেতে কোনোরকমে দূর্যোগের মধ্যে বেঁচে আছেন। এমতাবস্থায়তাদের দূর্ভোগের অন্ত নেই। এছাড়াও ১শতাধিক পোল্ট্রি খামারের ক্ষতিহয়েছে। বর্তমানে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় যাদের নৌকা কিংবা কলার ভেলা আছে তারা কোনো রকমে অন্যত্র যাতায়াত করতে পারলেও, যাদের নেইতাদের কষ্টের অন্ত নেই। বন্যায় উপজেলার প্রায় সব সড়কে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এরপরেও মানুষজন বিভিন্ন স্থানে যাতায়াতের জন্য অধিক টাকা খরচ করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অন্য স্থানে চলাচল করছেন।
সরজেমিনে গিয়ে উপজেলার কয়েকটি গ্রামঘুরে দেখা গেছে, হাকালুকির উত্তাল ঢেউয়ে মানুষজন ঘর-বাড়িতে থাকতে পারছেনা। তারপরও মানুষজন জীবনকে বাজি রেখে মাচার উপর ঠাঁই নিয়েছে। এছাড়াও যারা বাড়ি-ঘরে থাকতে পারছেনা তারা তাদেরগরু-বাছুর ও অন্যান্য মালামাল নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন। বন্যা দূর্গতদের জন্য প্রসাশনিকভাবে যে সংখ্যক আশ্রয় কেন্দ্র ও ত্রাণসামগ্রী ব্যবস্থা করা হয়েছে তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।
জুড়ী উপজেলানির্বাহী অফিসার সোনিয়া সুলতানা এর সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এমতাবস্থায় বন্যা দূর্গতদের নিরাপদ আশ্রয়ে স্থান দেয়ারজন্য বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবংশিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের নির্দেশ ও অনুরোধ জানিয়েছি। পাশাপাশি বন্যার্তদের সার্বিক সহযোগিতার ব্যাপারে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগতক রিয়েছি।
আপনার মতামত লিখুন :