অমিত খাঁন, শ্রীনগর (মুন্সীগঞ্জ): [২] জেলার শ্রীনগরে মাঘে শীতের তীব্রতায় মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। বিশেষ করে এ অঞ্চলে চলমান কৃষি কাজে শ্রমিকরা শীতে সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। প্রচন্ড শীত উপেক্ষা করে বিভিন্ন জমিতে দিনব্যাপী কাজ সারছেন তারা। আড়িয়ল বিলসহ উপজেলার বিভিন্ন চকের জমিতে এখন চলছে ধান চাষের কর্মব্যস্ততা। 

[৩] হাজার হাজার কৃষি শ্রমিক ও স্থানীয় কৃষক পরিবারের সদস্যরা হাড় কাপানো মাঘের শীত ও মৃদু-শ্বৈতপ্রবাহের মোকাবেলা করছেন। চলমান পরিস্থিতিতে কৃষি মৌসুমে শীত এখন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাড়িয়েছে। 

[৪] আড়িয়ল বিল সংলগ্ন আলমপুর, হাঁসাড়া, গাদিঘাট, ষোলঘরসহ উপজেলার কুকুটিয়া, আটপাড়া এলাকায় কৃষি শ্রমিকরা জানান, তারা চুক্তিতে জমিতে ধানের চারা রোপণ করছেন। প্রচন্ড শীতে কাজে তাদের প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হচ্ছে। তার পরেও জমিতে কাঁদামাটি ও পানি উপেক্ষা করে গৃহস্তের কাজ করতে হচ্ছে। শরীর গরম রাখতে মাঝে মধ্যে তাদের আগুন জ্বালাতে হচ্ছে। ধারনা করা হচ্ছে আগামী কিছুদিনের মধ্যে শীতের তীব্রতা কমবে। 

[৫] লক্ষ্য করা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন রাস্তা কিংবা সড়কের মোড়ে থাকা দোকানের বাড়ির পাশে সকালে ও রাতে স্থানীয় বৃদ্ধ, যুবক ও তরুণরা লাকড়ি-খরকুঠায় আগুন জ্বালিয়ে শরীর গরম করছেন। 

[৬] জানা যায়, গেল কয়েকদিনের প্রচন্ড শীতে নিম্নআয়ের কর্মজীবী মানুষগুলো শীতের কবলে কাতর হচ্ছেন। শীতের প্রকোপ বাড়ায় মানুষের ঠান্ডাজনিত রোগ অনেকাংশে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বয়স্ক মানুষ ও শিশুরা জ্বর, সর্দি-কাশি, নিউমোনিয়া রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। স্থানীয় হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতে এসব রোগীর ভিড় বাড়ছে।

[৭] আবহাওয়ার তথ্যমতের ভিত্তিতে মোবাইল ফোনে দেখা গেছে, শ্রীনগরে দিনে তাপমাত্রার পরিমাণ ছিল ১৭-১৮ ডিগ্রী। বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের মতে ঘণ কুয়াসা ও প্রচন্ড শীতে মানুষ ঠান্ডজনিত রোগের শিকার হচ্ছেন। এ রোগের হাত থেকে নিজ দেহকে সুরক্ষা রাখতে শীতের গরম কাপড় পরিধানের পাশাপাশি মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন। বিশেষ করে এই শীতে শিশু ও বয়স্কদের বাড়তি যত্ন নেয়ার কথা বলেছেন সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্যবিদরা। সম্পাদনা: ইস্রাফিল ফকির

প্রতিনিধি/আইএফ