মহসীন কবির: সোমবারও দেশের আট বিভাগের বেশির ভাগ স্থানে বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সিলেটে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমছে, বেড়েছে চট্টগ্রামে। গত ২৪ ঘণ্টায় সিলেটে মাত্র ২২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। একই সময়ে চট্টগ্রামে ২৪২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। সোমবার (২০ জুন ) সকালে বাংলাদেশ আবহাওয়া অফিসের দেওয়া এক পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
গতকাল রোববার বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের পানি ও বন্যা ব্যবস্থাপনা ইনস্টিটিউটের পরিচালক এ কে এম সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘সিলেটে বন্যার পানি ধীরে ধীরে কমতে পারে।
তবে বর্তমানে বিপদসীমা অতিক্রম করে রেকর্ড লেভেলে রয়েছে। এ জন্য পানি সম্পূর্ণ নামতে এক সপ্তাহ লাগতে পারে। বন্যার পানি বৃদ্ধির ধারা আজ সোমবারের পরে হ্রাস পেতে পারে। সারা দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে একটু সময় লাগবে। ’তিনি আরো বলেন, সুনামগঞ্জের বন্যার পানি আগামী ৪৮ ঘণ্টায় নেমে যাবে। এক সপ্তাহ ধরে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
শনিবার ১২০ মিলিমিটার ও গত রোববার ২৩৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এই বৃষ্টির পানি সিলেট-সুনামগঞ্জসহ সংশ্লিষ্ট অঞ্চল থেকে এখনো নামছে।
অন্যদিকে বন্যার পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র থেকে গতকাল জানানো হয়, আগামী ২৪ ঘণ্টায় উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সিলেট, সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোনা জেলার বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ ও জামালপুরও জেলার বন্যা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা রয়েছে। আর টাঙ্গাইল, মুন্সীগঞ্জ ও শরীয়তপুর জেলার নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।
বন্যার পূর্বাভাস কেন্দ্র সূত্র মতে, আবহাওয়া সংস্থাগুলোর গাণিতিক মডেলভিত্তিক পূর্বাভাস অনুযায়ী আগামী ৪৮ ঘণ্টায় দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং তত্সংলগ্ন ভারতের আসাম, মেঘালয় ও হিমালয় পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গের স্থানগুলোতে মাঝারি থেকে ভারি এবং কোথাও কোথাও অতিভারি বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছে। ফলে আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র-যমুনা, গঙ্গা-পদ্মা, সুরমা, কুশিয়ারা, তিস্তা, ধরলা, দুধকুমারসহ সব প্রধান নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে।
তথ্য অনুযায়ী, সিলেট ও সুনামগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকলেও শনিবার থেকে গতকাল সকাল পর্যন্ত বৃষ্টিপাত তুলনামূলক কম হওয়ায় পানি কমেছে। সিলেট অঞ্চলের পাশ দিয়ে প্রবাহিত নদীগুলোতে সৃষ্ট উজানের কারণে পানিস্তর বৃদ্ধি পেতে পারে। এছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি অঞ্চলে ভূমিধসের আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আপনার মতামত লিখুন :