মুরাদ হাসান, শিমুল চৌধুরী: [২] রোববার দেশের ১৩টি জেলার ওপর দিয়ে বয়ে গেছে শৈত্যপ্রবাহ। রাজধানীসহ দেশের বড় অংশজুড়ে অনুভূত হচ্ছে তীব্র শীত।
[৩] আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ বলেন, ঢাকায় সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যাবধান কমে পাঁচ ডিগ্রির নিচে নেমে এসেছে। টাঙ্গাইলে চার ডিগ্রির নিচে এবং ফরিদপুরে তিন ডিগ্রিতে নেমে এসেছে। এছাড়া সিলেটে চার ডিগ্রির নিচে, রাজশাহীতে আট ডিগ্রির নিচে, রংপুরে ছয় ডিগ্রির নিচে, ময়মনসিংহে চার ডিগ্রির নিচে, খুলনা ও বরিশালে আট ডিগ্রির নিচে এবং চট্টগ্রাম বিভাগে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পার্থক্য পাঁচ ডিগ্রিতে নেমে এসেছে।
[৪] আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ বলেন, চলমান শীতের তীব্রতা সোমবারও থাকতে পারে। তবে, রাজধানীসহ দেশের কিছু কিছু এলাকায় সোমবার দুপুরের পর রোদের দেখা মিলতে পারে। মঙ্গলবার তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে। বুধবার থেকে দেশের কিছু স্থানে বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে।
[৫] এদিকে তীব্র শীতে, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কিওলাইটিস, অ্যাজমা ও শ্বাসকষ্টসহ শ্বাসতন্ত্রের বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা স্বাভাবিক চেয়ে দুই-তিনগুণ বেড়েছে।
[৬] রংপুরে খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে গিয়ে ৪৪ দগ্ধ রোগীর মধ্যে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার সকাল থেকে রোববার সকালের মধ্যে তাদের মৃত্যু। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে রংপুরসহ আশপাশের জেলা-উপজেলা থেকে এসব দগ্ধ রোগী ভর্তি হয়েছে। বরিশাল বিভাগে গত এক মাসে শীতকালীন রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৬ হাজার ছাড়িয়েছে।
[৭] পঞ্চগড়ে টানা পাঁচদিন ধরে সূর্যের দেখা নেই। সঙ্গে উত্তরের হিমশীতল বাতাসে বেড়েছে শীতের প্রকোপ। ফেনীতে মৃদ্যু শৈত্যপ্রবাহে হাঁড় কাঁপানো শীত পড়ছে । একদিনে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে ৩১ জন শিশু। সব মিলিয়ে হাসপাতালটিতে ৭২ শিশু ভর্তি রয়েছে।
[৮] তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশার বীজতলা নষ্ট হচ্ছে। এছাড়া ইরি- বোরো ধানের আবাদ নিয়েও শংকা বিরাজ করছে। খুলনা, রাজশাহী, ময়মনসিংহ বিভাগের অনেক এলাকায় শেষ সময়ে বীজ বিনষ্ট হয়ে গেছে।
[৯] তথ্য পাঠিয়ে সহযোগিতা করেছেন- প্রতিনিধি মোস্তাফিজার বাবলু, শাহানাজ পারভীন, এমরান পাটোয়ারী। সম্পাদনা: কামরুজ্জামান
আপনার মতামত লিখুন :