মুরাদ হাসান, শিমুল চৌধুরী: [২] বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, চলমান শীতের তীব্রতা কমার কোনো সম্ভাবনা নেই। বরং এ সপ্তাহে রয়েছে বৃষ্টির সম্ভাবনাও। আর এ কারণে আগামী কয়েক দিনে শীতের তীব্রতা আরও বাড়বে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেসা। শুক্রবার বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের এই কর্মকর্তা এসব তথ্য জানান।
[৩] তিনি বলেন, চুয়াডাঙ্গা, পাবনা, কিশোরগঞ্জ ও দিনাজপুরের ওপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এই মাসজুড়েই শীত থাকবে। শীতের অনুভূতি কমবে না। বরং বাড়তে পারে।
[৪] শীত বাড়ার কারণ হিসেবে কাজী জেবুন্নেসা বলেন, আমাদের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান কমে গেছে, যা এই মাসজুড়েই অব্যাহত থাকবে। মূলত সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কমে গেলেই শীতের অনুভূতি বেশি মনে হয়। এছাড়া, আগামী ১৭ ও ১৮ জানুয়ারি বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। বৃষ্টি হলে তাপমাত্রা আরও কমে যাবে।
[৫] শুক্রবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গা ও কিশোরগঞ্জের নিকলিতে ৯.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে বলেও জানান এই আবহাওয়াবিদ।
[৬] তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ জানান- জেলাজুড়ে পাঁচ দিন ধরে মেঘ আর ঘন কুয়াশার আড়ালে পড়েছে সূর্য । উত্তর-পূর্ব বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে বায়ুপ্রবাহিত হওয়ায় শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে ।
[৭] শৈত্যপ্রবাহে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এ জেলার মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা।
[৮] হাড়কাঁপানো শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে দিনাজপুরের জনজীবন। শুক্রবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
[৯] পাবনার ঈশ্বরদীতে মৃদু শৈত্য প্রবাহের কারণে তীব্র শীত বিরাজ করছে। ঘর থেকে বের হওয়ায় দায় হয়ে পড়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন কর্মজীবীরা।
[১০] নাটোরে ঘন কুয়াশা ও হাড় কাঁপানো শীতে শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষজন পড়েছেন বিপাকে। পাশাপাশি শীতজনিত রোগের প্রকোপও বাড়ছে।
[১১] রাজশাহীতে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। এতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। কনকনে শীত নিবারণের জন্য কম দামে শীতবস্ত্র কিনতে রাজশাহীর নিম্ন আয়ের মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন ফুটপাতের দোকানে।
[১২] তথ্য পাঠানো প্রতিনিধিরা হলেন- মাহামুদুল হাসান, মঈন উদ্দিন, আব্দুল হাকিম, মনজুরুল ইসলাম, রিয়াদুল ইসলাম। সম্পাদনা: সমর চক্রবর্তী
আপনার মতামত লিখুন :