শিরোনাম
◈ যৌথবাহিনীর অভিযান: ফেনীতে অস্ত্রসহ আটক ৪ ◈ আমেরিকায় একান্ত বৈঠক হবে না মোদী-ইউনূসের : আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাই ◈ ওয়াকি–টকি বিস্ফোরণে লেবাননে এবার নিহত ১৪, আহত ৪৫০ ◈ কমিশন থেকে সরে গেলেও যুক্ত থাকবেন শাহদীন মালিক ! ◈ শেখ হাসিনা সরকার রেখে গেছে ১০ লাখ কোটি টাকার বিদেশি ঋণ : কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন ◈ কী হয়েছিল এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের টোল প্লাজায়? যা জানা গেল ভাইরাল সেই ভিডিওটির সম্পর্কে (ভিডিও) ◈ বিকেলে গণপিটুনি, রাতে জাবির সাবেক ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু  ◈ আন্দোলনে নিহতদের পরিবার পাবে ৫ লাখ, আহতরা ১ লাখ ◈ প্রধান বিচারপতি যে ১২ নির্দেশনা দিলেন ◈ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড থেকে দূরে থেকে বাদাম বেঁচে খেলেও ভালো করতাম : রিমান্ডে যুবলীগ নেতা

প্রকাশিত : ১৮ জুন, ২০২২, ০৬:৫৭ বিকাল
আপডেট : ১৮ জুন, ২০২২, ০৬:৫৭ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পানি বন্দি বহু পরিবার

ঝিনাইগাতে বন্যায় ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি

ঝিনাইগাতে বন্যায় ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি

রাকিবুল হাসান : শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলায় গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে দুই দফা বন্যা কবলিত হয়। গতকাল শুক্রবার ভোর রাত থেকে ভারতের মেঘালয় থেকে নেমে আসা বন্যার পানি ও অতিবর্ষণ অব্যাহত থাকার কারণে মহারশি নদীর প্রবল বেগে বন্যার পানি প্রবাহিত হয়। 

বন্যার পানি প্রবল বেগে প্রবাহিত হওয়ার ফলে নদীর উভয় পারের বাধ ভেঙে বহু ঘরবাড়ি ও শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান ভেঙে বিলীন হয়ে যায়। বন্যার পানি পাড় ভেঙে প্রবাহিত হওয়ার ফলে বহু গ্রাম অঞ্চল বাড়িঘর তলিযে যায়। বন্যার পানি প্রবল বেগে প্রবাহিত হওয়ার ফলে বহু রাস্তঘাট পুল-কালভার্ট ও মৎস্য খামার ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

অত্র ঝিনাইগাতী উপজেলার সিংহভাগ পুকুর বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ার কারণে পুকুরের সকল মাছ বন্যার পানিতে ভেসে যায়। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় মৎস্য চাষিরা। এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কয়েক কোটি টাকা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফারুক আল মাসুদ, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বাদশা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোছাম্মদ লাইলী বেগম জনপ্রতিনিধিগণ এবং জেলা-উপজেলার রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও সাংবাদিকগন বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন। আজ শনিবার সকাল ১১ টায় বন্যাদুর্গত ঝিনাইগাতী বাজারের মহারশি নদীর পূর্ব পাশে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের মাঝে ত্রাণ সহায়তা দেন।

উল্লেখ্য, গত দুই দফা বন্যায় নদীর পাড় ভেঙ্গে বহু জমিতে বালু পড়ে আবাদের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এছাড়াও বন্যার পানিতে রাস্তাঘাট ভেঙে যাওয়ার কারণে গ্রাম অঞ্চলের সঙ্গে উপজেলা সদরের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পরেছে। প্রকাশ থাকে যে এই বন্যার পানি ঝিনাইগাতী সদর বাজারে প্রবাহিত হওয়ার ফলে দোকানিদের দোকানের মালামাল বন্যার পানিতে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ ছাড়াও উপজেলা সরকারি অফিস গুলিতে বন্যার পানি ঢুকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

অত্র উপজেলাবাসীর দাবি অবিলম্বে মহারশি নদীর উভয় পাশে বেরি বাধ দিয়ে গ্রামবাসীর ঘর-বাড়ী ও ফসলি জমি রক্ষা জোর দাবি জানিয়েছে অত্র এলাকাবাসী। প্রকাশ থাকে যে ভারত থেকে উৎপত্তি হয়ে  অত্র উপজেলার ভিতর দিয়ে মহারশি কাল ঘোষা সোমেশ্বরী নদী সহ কয়েকটি নদী প্রবাহিত হয়েছে। প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে ভারত থেকে প্রবল বেগে পানি প্রবাহের ফলে কোটি কোটি টাকার ফসল ঘর-বাড়ী রাস্তাঘাট কালবাট এর ব্যাপক ক্ষতি সাধন হয়। তাই উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি দেওয়ার প্রয়োজন। 

অবিলম্বে এ সমস্ত এলাকা বন্যার ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে হলে নদীর উভয় পার্শ্বে বেরিবাধ দেওয়া ও নদী খনন করা অতীব জরুরি প্রয়োজন। যদি এই সমস্ত নদী শাসন ব্যাবস্তা করা না হয়। তাহলে  দরিদ্র কৃষক নিঃস্ব হয়ে পড়বে ।একই সাথে ফসলি জমি গুলিতে বালি পরে জমি গুলি অনাবাদি হয়ে যাবে। নিঃস্ব হয়ে যাবে অত্র অঞ্চলের দরিদ্র প্রন্তিক চাষীরা। যদি নদীগুলির উভয় পার্শ্বে বাধ দেওয়া না হয় ও  নদীগুলি পূর্ণঃখনন করা না হয়। যদি সরকারিভাবে এই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন না করা হয়। তাহলে অত্র এলাকার দরিদ্র মানুষ কোটি কোটি টাকা ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাবেনা। 

বর্তমানে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার গুলো দুর্যোগপূর্ণ কঠিন অবস্থায় জীবনযাপন করছে। ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ এখনো সরকারিভাবে নিরীক্ষণ করা হয়নি। তবে সরকারিভাবে ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় এর কাজ চলছে বলে জানা যায়। গত দুই দফার বন্যায় আনুমানিক কোটি কোটি টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বন্যার পানির প্রবল বেগে বহু বাড়ি-ঘর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণরূপে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

নদীগর্ভে বিলীন হওয়া ঘর বাড়ির মালিক গুলি এখন খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছে। মহারশি নদীর পূর্ব পাশে এক বিধবা মহিলা জরিনা বেগম নামের দরিদ্র মহিলার একমাত্র অবলম্বন ছিল তার বাড়ির ভিটা আর একটি ঘর । আর এই ঘরটি ও ভিটা সম্পূর্ণ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। বর্তমানে সে সম্পূর্ণরূপে অসহায় হয়ে পড়েছে । কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি জানান আমি এখন কোথায় যাবো কোথায় থাকব । আমার থাকার কোন জায়গা নেই।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়