শিরোনাম
◈ ভারতের কাছে শেখ হাসিনাকে ফেরত চাইবে বাংলাদেশ: জানালেন আইন উপদেষ্টা ◈ জাহাঙ্গীরনগরে ‘গণপিটুনিতে’ সাবেক ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু ঘিরে রহস্য ◈ তমা মির্জার সঙ্গে সম্পর্ক ফাটলের গুঞ্জন, যা বললেন রাফি (ভিডিও) ◈ ‘মারছে, ভাত খাওয়াইছে, এরপর আবার মারছে, ভাত খাওয়াইছে : তোফাজ্জলের মামাতো বোন (ভিডিও) ◈ ঢাবিতে পিটিয়ে যুবক হত্যার ঘটনায় ৪ শিক্ষার্থী আটক ◈ শামীম ওসমানের পুরোনো ভিডিওটি ভাইরাল : ‘ফিরব কি না জানি না’ ◈ জাদেজা-অশ্বিনের জুটিতে টেস্টের নিয়ন্ত্রণ হারালো বাংলাদেশ ◈ দিল্লিতে মেয়ের সঙ্গে থাকছেন শেখ হাসিনা, ঘুরতে দেখা গেছে পার্কে : ফিনান্সিয়াল টাইমসের রিপোর্ট ◈ ফের নেতাকর্মীদের জন্য আওয়ামী লীগের জরুরি নির্দেশনা ◈ মণিপুরের সহিংসতায় মিয়ানমার সীমান্তে কাঁটাতার বসাচ্ছে ভারত

প্রকাশিত : ১৮ জুন, ২০২২, ০৫:৪৬ বিকাল
আপডেট : ১৮ জুন, ২০২২, ০৫:৪৬ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কুড়িগ্রামে পানিবন্দী দেড় লাখ মানুষ

বাড়ছে ব্রহ্মপূত্র ও ধরলা নদীর পানি

কুড়িগ্রামে পানিবন্দী দেড় লাখ মানুষ

সৌরভ ঘোষ : গত দু’দিনে ব্রহ্মপূত্র ও ধরলা নদীর পানি বাড়তে শুরু করে। শনিবার সকালে ব্রহ্মপূত্র নদের পানি চিলমারী পয়েন্টে ১৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে ২২ সেন্টিমিটার এবং ধরলা নদীর পানি সেতু পয়েন্টে ৭ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে ২২ সেন্টিমিটার বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। 

পানি বাড়ার সাথে সাথে তলিয়ে যাচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। সেই সাথে বানভাসী এলাকায় দেখা দিয়েছে শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানি ও গো-খাদ্যের তীব্র সংকট। উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে কথা বলে জানা গেছে  গত তিনদিনে অস্বাভাবিকভাবে  পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার ৯ উপজেলার ৩০টি ইউনিয়নের প্রায় ১২৫টি গ্রামের প্রায় দেড় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পরেছে। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে রৌমারী, উলিপুর ও সদর উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির বেশি অবনতি ঘটেছে। শুরু হয়েছে বানভাসী মানুষের মধ্যে দুর্ভোগ। বন্যায় জেলায় প্রায় ৪০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে। ফসলাদি নিমজ্জিত হয়েছে প্রায় ৩ হাজার হেক্টর। নদীভাঙন ও সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পরায় বানভাসী মানুষ রয়েছে চরম দুর্ভোগের মধ্যে। 

এদিকে তীব্র পানির স্রোতে নাগেশ^রী উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের মুড়িয়ারহাট এলাকায় অস্থায়ী বেরিবাঁধের ২০/২২ ফুট ভেঙ্গে মেইনল্যান্ডের ফসলাদি তলিয়ে গেছে। এই পরিস্থিতিতে উপাজেলা প্রশাসন থেকে রৌমারীতে ৬হাজার এবং সদর উপজেলায় প্রায় ৫০০ প্যাকেট শুকনো খাবার দুর্গতদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। জেলা পর্যায়ে ২০ লক্ষ টাকা এবং ৪০০ মেট্রিকটন চাল মজুদ রয়েছে বলে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আব্দুল হাই সরকার জানিয়েছেন। তবে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হওয়ায় সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। 

সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাসেদুল হাসান জানান, আমরা দুর্গত এলাকা পরির্দশন করছি। এরই মধ্যে উদ্ধার কার্যক্রম এবং শুকনো খাবার বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। আমাদের কাছে পর্যাপ্ত ত্রাণ মজুদ রয়েছে। 

এদিকে কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক কৃষিবিদ আব্দুর রশীদ জানিয়েছেন, দ্বিতীয় দফা বন্যায় তলিয়ে যাওয়া ফসলের ক্ষতির সম্ভাবনা বেড়েছে। পানি নেমে গেলে ক্ষয়ক্ষতি নিরুপন শেষে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নজরে নেয়া হবে। যাতে বন্যা পূনর্বাসন প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় তাদেরকে সহযোগিতা করা যায়। সম্পাদনা : জেরিন 

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়