শিরোনাম
◈ যৌথবাহিনীর অভিযান: ফেনীতে অস্ত্রসহ আটক ৪ ◈ আমেরিকায় একান্ত বৈঠক হবে না মোদী-ইউনূসের : আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাই ◈ ওয়াকি–টকি বিস্ফোরণে লেবাননে এবার নিহত ১৪, আহত ৪৫০ ◈ কমিশন থেকে সরে গেলেও যুক্ত থাকবেন শাহদীন মালিক ! ◈ শেখ হাসিনা সরকার রেখে গেছে ১০ লাখ কোটি টাকার বিদেশি ঋণ : কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন ◈ কী হয়েছিল এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের টোল প্লাজায়? যা জানা গেল ভাইরাল সেই ভিডিওটির সম্পর্কে (ভিডিও) ◈ বিকেলে গণপিটুনি, রাতে জাবির সাবেক ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু  ◈ আন্দোলনে নিহতদের পরিবার পাবে ৫ লাখ, আহতরা ১ লাখ ◈ প্রধান বিচারপতি যে ১২ নির্দেশনা দিলেন ◈ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড থেকে দূরে থেকে বাদাম বেঁচে খেলেও ভালো করতাম : রিমান্ডে যুবলীগ নেতা

প্রকাশিত : ১৮ জুন, ২০২২, ০৫:৪৬ বিকাল
আপডেট : ১৮ জুন, ২০২২, ০৫:৪৬ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কুড়িগ্রামে পানিবন্দী দেড় লাখ মানুষ

বাড়ছে ব্রহ্মপূত্র ও ধরলা নদীর পানি

কুড়িগ্রামে পানিবন্দী দেড় লাখ মানুষ

সৌরভ ঘোষ : গত দু’দিনে ব্রহ্মপূত্র ও ধরলা নদীর পানি বাড়তে শুরু করে। শনিবার সকালে ব্রহ্মপূত্র নদের পানি চিলমারী পয়েন্টে ১৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে ২২ সেন্টিমিটার এবং ধরলা নদীর পানি সেতু পয়েন্টে ৭ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে ২২ সেন্টিমিটার বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। 

পানি বাড়ার সাথে সাথে তলিয়ে যাচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। সেই সাথে বানভাসী এলাকায় দেখা দিয়েছে শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানি ও গো-খাদ্যের তীব্র সংকট। উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে কথা বলে জানা গেছে  গত তিনদিনে অস্বাভাবিকভাবে  পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার ৯ উপজেলার ৩০টি ইউনিয়নের প্রায় ১২৫টি গ্রামের প্রায় দেড় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পরেছে। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে রৌমারী, উলিপুর ও সদর উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির বেশি অবনতি ঘটেছে। শুরু হয়েছে বানভাসী মানুষের মধ্যে দুর্ভোগ। বন্যায় জেলায় প্রায় ৪০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে। ফসলাদি নিমজ্জিত হয়েছে প্রায় ৩ হাজার হেক্টর। নদীভাঙন ও সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পরায় বানভাসী মানুষ রয়েছে চরম দুর্ভোগের মধ্যে। 

এদিকে তীব্র পানির স্রোতে নাগেশ^রী উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের মুড়িয়ারহাট এলাকায় অস্থায়ী বেরিবাঁধের ২০/২২ ফুট ভেঙ্গে মেইনল্যান্ডের ফসলাদি তলিয়ে গেছে। এই পরিস্থিতিতে উপাজেলা প্রশাসন থেকে রৌমারীতে ৬হাজার এবং সদর উপজেলায় প্রায় ৫০০ প্যাকেট শুকনো খাবার দুর্গতদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। জেলা পর্যায়ে ২০ লক্ষ টাকা এবং ৪০০ মেট্রিকটন চাল মজুদ রয়েছে বলে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আব্দুল হাই সরকার জানিয়েছেন। তবে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হওয়ায় সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। 

সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাসেদুল হাসান জানান, আমরা দুর্গত এলাকা পরির্দশন করছি। এরই মধ্যে উদ্ধার কার্যক্রম এবং শুকনো খাবার বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। আমাদের কাছে পর্যাপ্ত ত্রাণ মজুদ রয়েছে। 

এদিকে কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক কৃষিবিদ আব্দুর রশীদ জানিয়েছেন, দ্বিতীয় দফা বন্যায় তলিয়ে যাওয়া ফসলের ক্ষতির সম্ভাবনা বেড়েছে। পানি নেমে গেলে ক্ষয়ক্ষতি নিরুপন শেষে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নজরে নেয়া হবে। যাতে বন্যা পূনর্বাসন প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় তাদেরকে সহযোগিতা করা যায়। সম্পাদনা : জেরিন 

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়