মাজহারুল ইসলাম: ভারতের মেঘালয় ও আসামে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে বাংলাদেশের সিলেট ও সুনামগঞ্জের অবস্থা চরম খারাপের দিকে। ক্রমাগত বৃষ্টিপাতের ফলে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি ঘটাতে পারে বলে সতর্ক করেছে বাংলাদেশ ও ভারতের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
দেশের বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্রের তথ্যানুযায়ি, নদীগুলোর পানি বাড়ায় আগামী দুই দিনের মধ্যে দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলের আরো ১৭টি জেলায় বন্যা হতে পারে। এতে আক্রান্ত হতে পারে ৩৫ লাখ মানুষ। সেই সঙ্গে সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা, লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর ও কুড়িগ্রাম জেলার বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হতে পারে। সব মিলিয়ে এতে প্রায় দেশের ৩৫ লাখ মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আরিফুজ্জামান ভুঁইয়া বলেন, সিলেট, সুনাগমঞ্জ এলাকায় শনিবার এবং রোববারও বৃষ্টি হবে। ফলে সেসব এলাকার বন্যার পানি আরো বাড়তে পারে। কারণ যমুনা নদীর পানিও বাড়তে শুরু করেছে। ভারতে বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় বন্যার পানি দেশের কুড়িগ্রাম, সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলা হয়ে আরো এগিয়ে আসছে। এর ফলে জামালপুর, বগুড়া, শেরপুর, গাইবান্ধা, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ, লালমনিরহাট, নীলফামারি ও পাবনায় বন্যা ছড়িয়ে পড়তে পারে। এ ছাড়া নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজারে বন্যা ছড়িয়ে পড়তে পারে। বন্যার পানি আরো নীচের দিকে নেমে এলে রাজবাড়ী, ফরিদপুর, শরীয়তপুর এলাকা প্লাবিত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর তথ্যানুযায়ি, রোববার চেরাপুঞ্জিতে আরো ৫৫০ মিলিমিটার বৃষ্টি হতে পারে। গত তিনদিনে এখানে প্রায় আড়াই হাজার মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। আসামে বৃষ্টি হতে পারে অন্তত ৩০০ মিলিমিটার। এসব এলাকার বৃষ্টির পানি বাংলাদেশের সিলেট ও কুড়িগ্রাম দিয়ে নেমে আসবে। ভারতের মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জিতে গত বৃহস্পতিবার ৯৭২ মিলি মিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে, যা ১২২ বছরের মধ্যে রেকর্ড। মেঘালয় ও আসামে বৃষ্টি না কমে যাওয়া পর্যন্ত বন্যা পরিস্থিতির উন্নতির আশা দেখছেন না আবহাওয়াবিদরা। বিবিসি বাংলা
আপনার মতামত লিখুন :