মাছুম বিল্লাহ: [২] জীবাশ্ম জ্বালানি যুগের চূড়ান্ত সমাপ্তির পথ তৈরি করতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে জাতিসংঘের কপ-২৮ জলবায়ু সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী দেশগুলো জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হ্রাস শুরু করার বিষয়ে সম্মত হয়ে একটি চুক্তি করেছে।
[৩] জলবায়ু পরিবর্তনের মারাত্মক প্রভাব এড়াতে এটিই এ ধরনের প্রথম চুক্তি। বিজ্ঞানীরা বলে আসছেন, জলবায়ু বিপর্যয় এড়াতে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বন্ধ করাই শেষ সেরা উপায়।
[৪] বুধবার দুবাইয়ে ইক্সপো সিটিতে অনুষ্ঠিত কপ ২৮ সম্মেলনের শেষ দিনে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। অংশগ্রহণকারী প্রায় ২০০ দেশ দুই সপ্তাহ ধরে ব্যাপক তর্কবিতর্ক ও আলোচনার পর চূড়ান্ত চুক্তির বিষয়ে সমঝোতায় পৌঁছায়। মঙ্গলবার শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এই নিয়ে তর্কবিতর্ক চলতে থাকায় সম্মেলন বুধবারের বাড়তি সময়ে গড়ায়।
[৫] ‘জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে সরে আসার প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে এই প্রথম পরিষ্কার একটি প্রস্তাবনাকে ঘিরে বিশ্ব ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। এটি একটি স্পষ্ট সমস্যা হয়ে ছিল। শেষ পর্যন্ত আমরা এর মোকাবেলা করতে পেরেছি,’ বলেছেন নরওয়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস্পেন বার্থ আইদা।
[৬] তেল, গ্যাস ও কয়লার ব্যবহার ‘ধাপে ধাপে বন্ধ করার’ বিষয়ে কপ-২৮ এর চুক্তিতে কঠোর ভাষা ব্যবহার করার জন্য শতাধিত দেশ ব্যাপক তদ্বির করেছিল, কিন্তু সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন তেল রপ্তানিকারী দেশগুলোর জোট ওপেকের তীব্র বিরোধিতার মুখে তারা ছাড় দিতে বাধ্য হয়। বিশ্ব নির্দিষ্ট জ্বালানির ব্যবহার বন্ধ করা ছাড়াই দূষণ কমাতে পারে বলে যুক্তি ওপেকের। প্রস্তাবিত এই চুক্তি বিশেষভাবে ‘শক্তি ব্যবস্থায় জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে দূরে সরে আসার বিষয়ে সঠিক, সুশৃঙ্খল ও ন্যায়সঙ্গতভাবে’ আহ্বান জানাবে যেন ‘বিজ্ঞান নির্দেশিত পথে ২০৫০ সালের মধ্যে নিগর্মন শূন্যে নামিয়ে আনার লক্ষ্যে পৌঁছানো যায়’।
[৭] প্রস্তাবিত চুক্তিতে ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের নবায়নযোগ্য জ্বালানি সক্ষমতা তিনগুণ করারও ডাক দেওয়া হয়েছে। সম্পাদনা: সমর চক্রবর্তী
এমবি/এসসি/এনএইচ
আপনার মতামত লিখুন :