লাবিব হোসেন : [২] বরফের চাদর সরিয়ে উঁকি দিচ্ছে কচি পাতা ও ফুল। দেখতে এটি আনন্দদ্বায়ক হলেও এটিকে আশংকার চোখে দেখছেন বিজ্ঞানীরা। কারণ এই ফুল ফুটেছে অ্যান্টার্টিকায়। এর আগে এ তীব্র শীতল অঞ্চলে এতো দ্রুত কোনো উদ্ভিদের বেড়ে উঠতে দেখা যায়নি।
[৩] শুধু বৃদ্ধিই নয় সেই চরম শীতল অঞ্চলে ফুলও ফুটতে শুরু করেছে। তাতেই আতঙ্কে পরিবেশবিদ থেকে শুরু করে আবহাওয়াবিদরা। কারণ অ্যান্টার্ন্টিকার বুকে ফুল ফোটা আসলে জলুবায়ু পরিবর্তনেরই ইঙ্গিত দেয়। বরফে ঢাকা এই মহাদেশে নয়তো ফুল ফোটা একেবারে অসম্ভব।
[৪] রেকর্ড বলছে সেই অঞ্চলে মূলত দুই ধরণের উদ্ভিদ জন্মাতে দেখা গেছে এবং তাতে ফুল ফুটেছে। ১৯৬০ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত এই অঞ্চলে যে হারে এই উদ্ভিদের জন্ম হয়েছে ২০০৯ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত তার দশ গুণ উদ্ভিদ জন্মেছে।
[৫] এছাড়া অ্যান্টার্টিকায় অন্য ধরণের উদ্ভিদের জন্মের হারও বেড়েছে প্রায় ৫ গুণ। সাড়া বছর হিমাঙ্কের অনেক নিচে তাপমাত্রা থাকে অ্যান্টার্টিকায় সেই কারণেই মস্ক ও লচেন জাতীয় শৈবালেরই জন্ম হয়। তারা ওই অঞ্চলের আদিবাসিন্দা। কিন্তু এবার অ্যান্টির্টিকায় নতুন ধরনের উদ্ভিদের দেখা মিলছে।
[৬] বিজ্ঞানিরা মনে করছেন জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের কারণেই সেখানে দেখা মিলছে এই নতুন ধরণের উদ্ভিদের যা মস্ক এবং লিচেনের বৃদ্ধিতে। অ্যান্টার্টিকায় এই ফুল প্রথম দেখে অস্ট্রেলিয়ায় ওলঙ্গন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা। তারা দেখেন অ্যান্টার্টিকায় দু’ধরণের উদ্ভিদের বৃদ্ধি বেড়েছে খুব বেশি। সম্পাদনা: রাশিদ
এলএইচ/আর/এইচএ
আপনার মতামত লিখুন :