চাঁদপুরের নারী মন্ত্রী সংশ্লিষ্ট: নদী কমিশন চেয়ারম্যান
মেঘনার বালুখেকোদের ফাইল প্রয়োজনে দুদকে যাবে
মেঘনায় ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন
সালেহ্ বিপ্লব: [২] জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান মনজুর আহমেদ চৌধুরী বলেছেন, নদী দখলদারদের পেছনে রাজনৈতিক শক্তি আছে। মেঘনা নদী থেকে অবৈধভাবে যারা বালি উত্তোলন করছেন, তাদের সঙ্গে চাঁদপুরের একজন নারী মন্ত্রীর সম্পর্ক আছে।
[৩] তিনি বলেন, মেঘনা থেকে এক ব্যক্তি ৬৬৮ কোটি সিএফটি বালু চুরি করেছেন। ওই বালুর আর্থিক মূল্য ৬ হাজার কোটি টাকার বেশি। তাকে ২৬৭ কোটি টাকা রয়্যালটি দেওয়ার কথা বলে তাঁর চুরিকে বৈধতা দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, বালু উত্তোলনের প্রধান ব্যক্তি চাঁদপুরের ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম খান।
[৪] রোববার বিশ্ব নদী দিবস উপলক্ষে সিরডাপ মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান এ কথা বলেন।
[৫] চেয়ারম্যান যে অভিযোগ এনেছেন, তার ধারাবাহিকতায় কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে, জানতে চেয়েছে আমাদের সময় ডটকম। রোববার রাতে ফোনালাপে তার কাছে প্রশ্ন ছিলো, বালু উত্তোলনের নেপথ্যে থাকা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কোনো সুপারিশ কমিশন করবে কি না?
[৬] কমিশন চেয়ারম্যান বলেন, একজন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ। আমরা তো এভিডেন্স ছাড়া মন্ত্রীর বিরুদ্ধে সুপারিশ করতে পারি না। এক বছর আগের ঘটনা। আমাদের কাছে যে এভিডেন্স আছে, তা আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবো। এতে কী কী আছে দেখবো। যদি এমন কোনো উপাদান পাওয়া যায় যে, যেটা দুর্নীতি দমন কমিশনের এখতিয়ার; সেক্ষেত্রে আমরা অভিযোগটা দুদকে রেফারের চিন্তাভাবনা করবো।
আপনার মতামত লিখুন :