লাবিব হোসেন: [২] সাধারণত সর্বোচ্চ ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা সহ্য করতে পারে মানুষ। এর থেকে বেশি তাপমাত্রা মানবদেহে বিপাকীয় হারের মাত্রা বৃদ্ধি সহ নানা সংকট দেখা দিতে পারে। বিশ্বজুড়ে অস্বাভাবিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে বিষয়টি নতুন করে আলোচনায় এসেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছে, অতিরিক্ত তাপমাত্রায় হিট স্ট্রোকের শঙ্কা হয়েছে। সূত্র : ইন্ডিপেন্ডেট নিউজ
[৩] ভয়াবহ তাপদাহে নাকাল ইউরোপ। ২০২২ সালে প্রথম বার যুক্তরাজ্যে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়। গত বছর তীব্র গরমে ইউরোপে মারা গেছে ৬০ হাজার মানুষ। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনেও তাপমাত্রা ছাড়িয়েছে প্রায় ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বর্তমানে মানুষ গ্লোবালবার্নিং যুগে বসবাস করছে বলে সতর্ক করে জাতিসংঘ। তাপমাত্রা বৃদ্ধির কি প্রভাব মানব দেহের ওপর প্রভাব ফেলে তা বুঝতে ২১, ৩৫ এবং ৪০.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় পরীক্ষা করে দেখে ইউনির্ভাসিটি সাউথ ওয়েলস এর প্রফেসর ডেনিয়াল বেইলি।
[৪] তিনি জানান, ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় রক্তচাপ ও হৃদস্পন্দন সবচেয়ে ভালো কাজ করে। ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় মানবদেহে অস্বস্তি বোধ হয় এবং কাজের আগ্রহ কমে যার ঘাম হতে শুরু করে। আর ৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় গেলে মস্তিস্কে রক্তের প্রবাহ ৮,৫ শতাংশ কমে যায়। এ সময় শরীরে তাপমাত্রা পৌছায় ৩৬.২ থেকে ৩৭.৫ ডিগ্রিতে। শ্বাস-প্রশ্বাস বাড়ে মিনিটে ১০ থেকে ১৫ পর্যন্ত। আর হৃদকম্পন হয় মিনিটে ৫৪ থেকে ৮৭ বার। ঘন্টায় ৪০০ মিলিমিটার ঘাম ঝড়ে এবং ত্বকের তাপমাত্রা ৩১.৩ থেকে বেড়ে ৩৫.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌছায়। এ ক্ষেত্রে আদ্রতারও বড় ভূমিকা রয়েছে।
[৫] বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, বায়ুমন্ডলের তাপমাত্রা বাড়লে হিট স্ট্রোক হওয়ার শঙ্কা বেড়ে যায়। সুস্থ মানুষ তা মোকাবেলা করতে পারলে ও অসুস্থ এবং বয়স্ক মানুষের ক্ষেত্রে তার স্ট্রোকের শঙ্কা বেড়ে যায়। সম্পাদনা: রাশিদ
এলএইচ/আরএইচ/এনএইচ