খাদেমুল বাবুল: [২] জামালপুরের মাদারগঞ্জে যমুনার ভাঙনে নিঃস্ব হচ্ছে শত শত পরিবার। বিলীন হচ্ছে হাজার হাজার একর ফসলি জমি, সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা, স্কুল-কলেজ, মসজিদ-মাদরাসা, রাস্তা-ঘাট, হাট-বাজার ও ব্রিজ-কালর্ভাটসহ অসংখ্য স্থাপনা।
[৩] আব্দুল হক বলেন, নদী ভাঙন রোধে বাঁধ নির্মাণ হবে এই আশায় স্বপ্ন দেখছিলাম। কিন্তু চোখের সামনেই আমাদের বাপদাদার বসত-ভিটা আমাদের স্বপ্নের ঠিকানা নদী গর্ভে বিলীন হচ্ছে।
[৪] মজিবর রহমান বলেন, বাপদাদার শত শত বিঘা জমি ছিলো কিন্তু আমরা এখন নিঃস্ব ভিখারী। বছরের পর বছর আমরা নদী ভাঙনের শিকার হচ্ছি কিন্তু সে দিকে কারো নজর নেই।
[৫] এছাড়া দেওয়ানগঞ্জ ফুটেনি বাজার থেকে ইসলামপুরের উলিয়া বাজার পর্যন্ত প্রায় ৬০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়ে যমুনার বামতীর সংরক্ষণ প্রকল্প। কিন্তু মাঝে মধ্যেই প্রকল্পের বিভিন্ন স্থানে ধস দেখা দেওয়ায় আতঙ্কিত হচ্ছে এলাকাবাসী।
[৬] এলাকাবাসীর অভিযোগ নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন ও নিম্নমানের কাজের কারণে বার বার ভাঙনের মুখে পড়ছে তীর সংরক্ষণ প্রকল্প। সম্প্রতি বাংলাদেশের গৌরব স্বাধীনতার দলিল লেখক কবি-সাহিত্যিক হাসান হাফিজুর রহমান স্মৃতি বিজড়িত কুলকান্দী গ্রামের পৈতৃর্ক নিবাস সংলগ্ন এলাকায় তীর সংরক্ষণ প্রকল্পে প্রায় ৩০ মিটার ধসে যায়।
[৭] জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সাইদ বলেন, বালুর বস্তা ড্রাম্পিং করা হচ্ছে। ভাঙন প্রতিরোধে চেষ্টা অব্যাহত আছে বলেও জানান তিনি।
আপনার মতামত লিখুন :