সনতচক্রবর্ত্তী, ফরিদপুর: ফরিদপুরে ঘন কুয়াশার সঙ্গে ঝরছে টুপটাপ বৃষ্টি। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষ। ঘন কুয়াশায় সকালের দিকে সড়ক-মহাসড়কের হেড লাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন।
সকাল হলেই দেখা যাচ্ছে ঘন কুয়াশায় ছেয়ে গেছে চারিপাশ। যার ফলে ফরিদপুর সড়ক মহাসড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে যানবাহনগুলো। এসব যানবাহনের গতিবেগ থাকছে খুবই কম। সড়কে চলাচলরত ভ্যান, রিকশা ও অটোরিকশার চালকরা ঘন কুয়াশায় জড়োসড়ো হয়ে পড়ছে।
অন্যদিকে, ঘন কুয়াশা জীবিকার তাগিদে ঝুঁকি নিয়ে পায়ে হেটে বের হচ্ছেন অনেকে। ফলে কিছুটা দুর্ভোগে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ।
চিকিৎসকরা বলেন, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে রোগীর চাপ বেড়েছে। এমনিতে শীত মৌসুমে আবহাওয়া শুষ্ক থাকায় বাতাসে জীবাণুর পরিমাণ বেড়ে যায়। শীতজনিত রোগ হিসেবে সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট বেশি হয়ে থাকে। আর শিশু ও বয়োজ্যেষ্ঠরা শীতজনিত রোগে বেশি আক্রান্ত হয়। তাই এ সময়টাতে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে পারলে কিছুটা হলেও সুরক্ষা মিলবে।
বোয়ালমারী উপজেলার ময়না গ্রামের এক গৃহিনী এই প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, সকাল থেকে ধরে সূর্যের মুখ দেখি না। ঠাণ্ডার কারণে ঘরের বাইরে যাওয়াই কঠিন হয়ে পড়েছে। আর খেটে খাওয়া মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে বহুগুণ।
বোয়ালমারী উপজেলার ময়না ইউনিয়নের খরসুতি গ্রামের ইজিবাইক চালক মোসলেম সেখ জানান, বৃষ্টির পর হঠাৎ করেই তীব্র কুয়াশায় চারি পাশে অন্ধকার নেমে এসেছে। রাস্তায় গাড়ি চালাতে খুবই কষ্ট হচ্ছে।
ভ্যানচালক শহিদুল ইসলাম জানান, ভোরে ভ্যান নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যাচ্ছি। কিন্তু কুয়াশার কারণে রাস্তায় কিছুই দেখতে পাচ্ছি না, তবুও চলতে হচ্ছে।
ফরিদপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, সোমবার সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্র আরও কমতে পারে বলেও জানান তিনি।
প্রতিনিধি/এইচএ
আপনার মতামত লিখুন :