এম আর আমিন, চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম সকাল থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে আকাশ মেঘলা আছে। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের আঘাতের আশঙ্কায় চট্টগ্রাম বন্দরে ‘অ্যালার্ট-থ্রি’ অর্থাৎ বিপদ সংকেত জারি করা হয়েছে। বন্দরে সব ধরনের অপারেশনাল কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। জেটিতে অবস্থানরত সব জাহাজকে গভীর সাগরে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। বহিঃনোঙ্গরে অবস্থানরত জাহাজগুলোকেও গভীর সমুদ্রে চলে যাবার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এর ফলে বহিঃনোঙ্গরে পণ্য খালাস পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। প্রায় শতাধিক জাহাজ গভীর সমুদ্রে চলে যাওয়ায় বন্দর সীমানা এখন জাহাজশূন্য বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের সম্ভাব্য আঘাত মোকাবেলায় জরুরি সভায় বসেছেন চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যানসহ ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তারা।
বন্দরের সচিব ওমর ফারুক বলেন, জেটিতে ১৮টা জাহাজ ছিল। সবগুলোকে সাগরে পাঠিয়ে জেটি জাহাজশূন্য করা হয়েছে। জেটিতে লোডিং-আনলোডিং বন্ধ আছে। কিছু ট্রাক-কাভার্ড ভ্যানে পণ্য তুলে বাইরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বহিঃনোঙ্গরে ৭০ টার মতো মাদার ভ্যাসেল ছিল। সেগুলোকে গভীর সমুদ্রে পাঠানো হয়েছে। বন্দর সীমানায় এখন আর কোনো জাহাজ নেই। এখন আমরা বন্দরের ইক্যুইপমেন্টগুলো সুরক্ষার ব্যবস্থা করছি। জাহাজ চলাচল পুরোপুরি বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।ঘূর্ণিঝড় পরিস্থিতিতে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে বিশেষ নিরাপত্তা কক্ষ স্থাপন করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় নিয়ে যে কোনো ধরনের তথ্যের জন্য 01320-108399 নম্বরে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং মোকাবিলায় মহানগরী সহ ১৫ উপজেলায় ২৯০ মেডিক্যাল টিম প্রস্তুত রেখেছে সিভিল সার্জন কার্যালয়। এ তথ্য জানিয়েছেন সিভিল সার্জন ডা. ইলিয়াছ চৌধুরী।
তিনি আরও বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের জরুরি মুহুর্তে সেবা দিতে চট্টগ্রাম জেলার ১৫ উপজেলার ২০০ ইউনিয়নে একটি করে মেডিক্যাল টিম কাজ করবে। এছাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে ৫টি করে মেডিক্যাল টিম, ৯ আরবান ডিসপেনসারির অধীন ৯ টিম, চট্টগ্রাম স্কুল হেলথ ক্লিনিকে একটি টিম ও চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ৫ মেডিক্যাল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এদিকে মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলো নদীতে অবস্থান করছে। সাগরে অবস্থানরত নৌকা-ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলেছে আবহাওয়া অধিদ্প্তর।
প্রতিনিধি/এইচএ
আপনার মতামত লিখুন :