ডেস্ক রিপোর্ট: বাংলাদেশিদের মধ্যে বিদেশ গমনের চাহিদা অস্বাভাবিক বেড়েছে। বাংলাদেশ থেকে আন্তর্জাতিক ভ্রমণ সংক্রান্ত এ তথ্য জানিয়েছে বিশ্বের বৃহত্তম ভিসা আউটসোর্সিং ও বিশ্বব্যাপী কূটনৈতকি মিশনের জন্য প্রযুক্তি পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা ভিএফএস গ্লোবাল। বাংলাদেশ প্রতিদিন, দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড
চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশিদের ভিসা আবেদনের সংখ্যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৬০ শতাংশ বেড়েছে। ভ্রমণমকারীদের গন্তব্য প্রধানত অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র।
সম্প্রতি এ তথ্য জানানোর জন্য সংগঠনটি একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। ভিএফএস গ্লোবালের দক্ষিণ এশীয় সিওও (চিফ অপারেটিং অফিসার) প্রবুদ্ধ সেন এক লিখিত বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছেন। সংস্থাটির জেনারেল ম্যানেজার (কর্পোরেট অ্যান্ড কমিউনিকেশন) সৌভিক মিত্রসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
প্রবুদ্ধ সেন জানান, বাংলাদেশ থেকে আন্তর্জাতিক ভ্রমণের চাহিদা ও প্রবণতা অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। পাশাপাশি আগের চেয়ে অনেক বেশিসংখ্যক বাংলাদেশিরা ভিসার জন্য আবেদন করছে।
তিনি আরও জানান, কারণ মহামারির পর আন্তর্জাতিক ভ্রমণের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ায় এই প্রবণতা বেড়েছে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো চালু হওয়ার কারণেও ভিসা চাহিদা বেড়েছে।
লিখিত বিজ্ঞপ্তিতে ভিএফএস জানায়, ভিসার আবেদন বেড়েছে কারণ ভ্রমণকারীরা এখন আরামপ্রদ ও তলনামূলক কম অপেক্ষা করতে হয়-এমন ভ্রমণ অভিজ্ঞতা বেছে নিচ্ছেন। অপশনাল ভিসা অ্যাট ইইউর ডোরস্টেপের ক্ষেত্রে গত অর্থবছরের তুলনায় এ বছর ৯ গুণ বেড়েছে। এ সেবার আওতায় আবেদনকারীরা ঘরে বা অফিসে বসেই ভিসার সব কাজ শেষ করতে পারছেন। বাংলাদেশি ভ্রমণমকারীদের গন্তব্য প্রধানত অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র। শিক্ষার্থী ভিসার আবেদন মূলত যুক্তরাজ্যেরই বেশি পাওয়া যাচ্ছে।
ভিএফএস আরও জানায়, ভিসা আবেদনের সংখ্যা যেকোনো সময়ের তুলনায় সর্বোচ্চ। এর কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, করোনা মহামারির পর আন্তর্জাতিক সীমানাগুলো খুলে দেওয়ায় এ প্রবণতা বাড়ছে। এছাড়া বিভিন্ন দেশে ভ্রমণের নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হয়েছে। পাশাপাশি দুবাই এক্সপো-২০২০ ও ফিফা বিশ্বকাপ-২০২২ এর মতো আন্তর্জাতিক ইভেন্টগুলো পুনরায় চালু হয়েছে। আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও চালু হয়েছে। এছাড়া আন্তর্জাতিক পর্যটকদের মাধ্যমে স্বাস্থ্যই প্রথম ধারণায় বিশ্বজুড়ে স্পর্শবিহীন প্রযুক্তির ব্যাপক চর্চা হচ্ছে। ফলে ভিসা চাহিদা বেড়েছে।
প্রসঙ্গত, ভিএফএস গ্লোবাল বিশ্বজুড়ে ৬৬ দেশের জন্য ১৪৪টি দেশে ৩ হাজার ৩০০টিরও বেশি আবেদন কেন্দ্র ও ভিসা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে ২৪৮ মিলিয়নের বেশি আবেদন সফলভাবে প্রক্রিয়া করেছে। ভিএফএস গ্লোবালের সদর দপ্তর সুইজারল্যান্ডের জুরিখ এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে।
বিডিবি/বিএস/এইচএ
আপনার মতামত লিখুন :