শিরোনাম

প্রকাশিত : ০৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ০৩:২৫ রাত
আপডেট : ০৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ০৩:২৫ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বন্যায় বিধ্বস্ত ইউনেস্কো স্বীকৃত বিশ্ব ঐতিহ্য মহেঞ্জোদারো

ছবি: সিএনএন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পাকিস্তানে চলমান ইতিহাসের ভয়াবহতম বন্যায় ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ইউনেস্কো স্বীকৃত বিশ্ব ঐতিহ্য প্রাচীন মহেঞ্জোদারো সভ্যতার নিদর্শন। বর্তমান করাচি থেকে ৫০৮ কিলোমিটার দূরে সিন্ধু নদীর অববাহিকায় এ সভ্যতা অবস্থিত। যা আজ থেকে পাঁচ হাজার বছর আগে ব্রোঞ্জ যুগে গড়ে উঠেছিল। বণিক বার্তা

ইউনেস্কোকে দেয়া একটি চিঠিতে দুঃখপ্রকাশ করে পাকিস্তানের সংস্কৃতি, পর্যটন এবং পুরাতত্ত্ব বিভাগ লিখেছে, ‘দুর্ভাগ্যজনক ভাবে এমন একটা ধ্বংস আমাদের দেখতে হচ্ছে’। এতে সই করেছেন কিউরেটর ইহসান আলি আব্বাসি এবং স্থপতি নাভিদ আহমদ।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, বর্তমানে স্থানটাকে আশেপাশের বন্যার্তদের জন্য সাময়িক আশ্রয়কেন্দ্র হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। মানবতার জায়গা থেকে আমরা তাদেরকে আমাদের কক্ষ, পার্কিং এরিয়া, দোকান এবং জাদুঘরের মেঝেতে থাকতে দিয়েছি।

চিঠিতে কিছু পদক্ষেপ গ্রহণের কথা উল্লেখ করা ইউনেস্কোর কাছে সাহায্য চাওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়, ক্ষতি কমানোর জন্য ড্রেন পরিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া খুলে যাওয়া ইটের দেয়াল মেরামত করা এবং পাম্প এনে সেচ দেয়া হয়েছে। কিন্তু তা পর্যাপ্ত না মোটেও। পুরোপুরি মেরামত করার জন্য অন্তত ৪ কোটি ৫০ লাখ ডলার লাগবে।

মহেঞ্জোদারোর শব্দের অর্থ মৃতের ঢিবি। ১৯২১ সালে হরপ্পায় প্রাচীন সভ্যতার নিদর্শন খুঁজে পাওয়া যায়। ঠিক পরের বছর সামনে আসে মহেঞ্জোদারোর নাম। খননকার্য চলতে থাকলে চিহ্নিত হয় বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন সিন্ধু সভ্যতা। শহরের আয়তন, সমৃদ্ধি এবং নির্মাণ থেকে সহজেই অনুমান করা যায় সভ্যতার উচ্চতা। পরিকল্পিত রাস্তা এবং নিয়ন্ত্রিত পানিনিষ্কাশন ব্যবস্থা স্পষ্ট করে তাদের নাগরিক জীবন। ১৯৮০ সালে মহেঞ্জোদারোকে স্বীকৃতি দেয় ইউনেস্কো। স্বীকৃতি দানের সময় বলা হয়, মহেঞ্জোদারো সিন্ধু সভ্যতার জন্য ব্যতিক্রম সাক্ষ্য। ভারতীয় উপমহাদেশে সবচাইতে পুরাতন পরিকল্পিত নগর।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়