শিরোনাম

প্রকাশিত : ০১ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ০৯:২৮ রাত
আপডেট : ০১ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ০৯:২৯ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বাইপাস ক্যানাল পদ্ধতির মাধ্যমে দেশে ৮০ ভাগ পানি দূষণ রোধ সম্ভব

মনজুর এ আজিজ: বাইপাস ক্যানাল পদ্ধতির মাধ্যমে দেশে ৮০ ভাগ পানি দূষণ রোধ সম্ভব বলে মনে করেন পরিবেশবাদী সংগঠন সবুজ আন্দোলন। পানি দূষণ রোধ ও সবার জন্য সুপেয় পানির ব্যবস্থা নিশ্চিতে ৯টি প্রস্তাব দিয়েছে সংগঠনটি। বৃহস্পতিবার সংগঠনটির চতুর্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘পানি দূষণ রোধে সরকার ও জনগণের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব প্রস্তাব জানানো হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, বর্তমান সরকার উন্নয়ন করছে, তবে পরিবেশ উন্নয়নের দিকটি ততটা গুরুত্ব পাচ্ছে না। সবুজ আন্দোলনের কার্যক্রমের সঙ্গে আমি একাত্মতা ঘোষণা করছি। নদী দূষণরোধে সরকারকে আরও গুরুত্ব দিতে হবে।

বিশেষজ্ঞ আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ সেন্টার ফর অ্যাডফান্সড স্টাডিজের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ড. আতিক রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. মঞ্জুরুল কিবরিয়া, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান প্রমুখ।

সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালনা পরিষদের চেয়ারম্যান বাপ্পি সরদার বলেন, সবুজ আন্দোলন গবেষণা পরিষদ দীর্ঘ আট মাস সিটি করপোরেশন এলাকা ও উপকূলীয় অঞ্চলে সংগঠনের বিভিন্ন নেতাকর্মীদের মাধ্যমে একটি জরিপ পরিচালনা করে। তাতে দেখা গেছে, দেশের প্রায় ৭৩ শতাংশ জনগণ অনিরাপদ পানি পান করছে। এ ক্ষেত্রে বাইপাস ক্যানাল পদ্ধতি ব্যবহার করলে ৮০ ভাগ পানি দূষণ রোধ করা সম্ভব।

তিনি বলেন, নিরাপদ পানি ব্যবস্থাপনা করতে হলে ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রচলিত আইনের সংশোধন এবং বাস্তবায়ন করতে হবে। সরকারের পক্ষ থেকে জনসচেতনতার জন্য প্রচার-প্রচারণার ব্যবস্থা করতে হবে। পাশপাশি নদীর নাব্যতা সংকট দূরীকরণে সব নদী খননের ব্যবস্থা করতে হবে এবং সমুদ্রের সঙ্গে নদীর গতিপথকে সচল রাখতে হবে। ঢাকার পানি সংকট দূর করতে বুড়িগঙ্গা নদীর সঙ্গে সমুদ্রের যোগাযোগ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।

অন্যান্য প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে-নদীতে কলকারখানার বর্জ্য অপসারণ বন্ধে জোরালো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে, ইটিপি ফর্মুলা বাস্তবায়ন করতে অংশীদারত্বের ভিত্তিতে বাইপাস ক্যানাল পদ্ধতি অনুসরণ করা, প্লাস্টিক পণ্য নদীতে ফেলা থেকে বিরত রাখার ব্যবস্থা করা, নদীর ভাঙন রোধে স্থায়ী বেড়িবাঁধ, ঝুলন্ত ব্রিজ নির্মাণ করা, জাহাজভাঙা শিল্প বর্জ্য অপসারণের সতর্ক অবস্থান গ্রহণ করা, জাহাজ ডুবি রোধে ফিটনেসবিহীন নৌযান ব্যবহার বন্ধ করা, উপকূলীয় অঞ্চলে সরকার ও উন্নয়ন অংশীদার প্রকল্প জোরদার করা, ক্ষতিগ্রস্ত রাষ্ট্র হিসেবে প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে রক্ষা পেতে উন্নত রাষ্ট্রগুলোকে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ থেকে বিরত রাখা, মাটির উর্বরতা ধরে রাখতে জৈব সারের ব্যবহার বৃদ্ধি করা, উন্নত বীজ, সার ও আধুনিক কৃষি ব্যবস্থার যন্ত্রাংশ সরবরাহে সরকারের পক্ষ থেকে যথাপোযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা ও উপকূলীয় অঞ্চলে নিরাপদ স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য মিনি হাসপাতাল নির্মাণ এবং নিরাপদ পানি ব্যবহারের গভীর নলকূপ স্থাপন করা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়