শিরোনাম
◈ কুষ্টিয়ায় পদ্মার ভাঙনে জাতীয় গ্রিডের টাওয়ার নদীতে বিলীন ◈ ভারতে থাকার মেয়াদ শেষ হচ্ছে, কোন আইনের বলে ভারতে থাকবেন শেখ হাসিনা? ◈ (২০ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার ◈ স্থিতিশীল ডলারের দর, ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভেও ◈ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ‘গ্যারান্টিতে’ নগদ টাকার সংকট কাটছে যে ৫ ব্যাংকের ◈ হত্যাকাণ্ড নিয়ে অপপ্রচার চলছে, জাবিতে কোন কমিটিই নেই : ছাত্রদল ◈ গণপিটুনিতে মৃত্যু: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার দুঃখপ্রকাশ, বৈষম্যবিরোধীদের নিন্দা, ফেসবুকে নানা সমালোচনা ◈ ভারতের গোলা যাচ্ছে ইউক্রেনে, ক্ষুব্ধ রাশিয়া ◈ সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান সুনামগঞ্জে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার গ্রেফতার ◈ মব জাস্টিস শুধু সহিংসতা ও অন্যায় সৃষ্টি করে: সমন্বয়ক হাসনাত

প্রকাশিত : ০১ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ০৮:০৪ রাত
আপডেট : ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ০৯:৪৩ রাত

প্রতিবেদক : আশ্রাফুর রহমান রাসেল

হালদায় টাইগার ফিশ, হুমকির আশংকায় জীববৈচিত্র্য

টাইগার ফিশ এর জন্য জীববৈচিত্র হুমকির আশংকা

এম. মোশাররফ হোসাইন : দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীতে এবার ভয়ানক টাইগার ফিশ পাওয়া গেছে। ভয়ানক ফিস গুলো হালদা থেকে ছড়িয়ে এখন শাখা খাল গুলোতে দেখা গেছে।

সওকত নামে হালদা খালের এক বাসিন্দা জানায়, গত কয়েক দিন থেকে চেংখালী সংযোগ হালদা খালে হাত জাল গুলোতে ধরা পড়ছে এই মাছ। তবে ধরা পড়লেও এ গুলো খাওয়ার উপযোগি নয় বলে জানান জেলেরা। যার কারণে এ সব মাছ ফের জেলেরা খাল এ ছেড়ে দিচ্ছে।

ভয়ানক এই ফিস দিন দিন বৃদ্ধি পেয়েছে হালদা নদীতে। প্রকৃতির বিস্ময়কর সৃষ্টি ‘হালদা নদী’ বিশ্বের একমাত্র জোয়ার-ভাটার নদী এবং এশিয়ার একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র, যেখান থেকে সরাসরি রুই জাতীয় মাছের নিষিক্ত ডিম সংগ্রহ করা হয়। ‘হালদা নদী’ বাংলাদেশের দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার বাটনাতলী পাহাড় হতে উৎপন্ন হয়ে মানিকছড়ি, চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি, হাটহাজারী ও রাউজান উপজেলার ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বুড়িশ্চরের নিকট কর্ণফুলী নদীতে পতিত হয়েছে।

টাইগার ফিশ মূলত জলাশয়ের আগাছা, জলজ পোকামাকড় ও ছোট মাছ খেয়ে থাকে। তবে এটি শিকারি প্রজাতির নয়। মুখ দিয়ে শুষে খাবার খায়। হালদা পাড়ের মৎস্যজীবী, বাসিন্দা ও মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, নদী সংলগ্ন খাল-বিল এবং আশেপাশের পুকুরে গত কয়েক বছর ধরে টাইগার ফিশের দেখা মিলছে। স্থানীয়রা এ মাছকে চেনে ‘টাইগার ফিশ’ নামে।

এটা মূলত অ্যাকুরিয়াম ফিশ। ড্রেনের মাধ্যমে হয়ত এটি খাল বেয়ে নদীতে পৌঁছে গেছে। হালদায় এর উপস্থিতি অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। কারণ এটির বংশবৃদ্ধির হার খুব বেশি। কম অক্সিজেনেও বাঁচতে পারে। দ্রুত এর সংখ্যা বাড়লে হালদার মা মাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ হুমকিতে পড়বে।

মৎস্য কর্মকর্তারা বলেন, ‘মাছটি খাওয়ার অনুপযোগী। এর পাখনা খুব ধারালো হওয়ায় অন্য মাছকে সহজে আঘাত করে। তাই এটি যদি আমাদের প্রকৃত মৎস্য সম্পদের উৎসস্থলগুলো দখল করে নেয়, তাহলে সেটি হবে দেশের মৎস্য সম্পদের জন্য হুমকিস্বরূপ।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের হালদা রিভার রিসার্চ ল্যাবরেটরির সমন্বয়ক ড. মনজুরুল কিবরিয়া বলেন, টাইগার ফিশের কারণে হালদা নদীতে এখন অন্য প্রজাতির কোনো মাছ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। এখন থেকে এ মাছ নিধন করা না হলে তা হালদার জন্যও ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনবে। হালদা অববাহিকায় এ মাছ যাতে কেউ অ্যাকুরিয়ামেও না রাখে সে বিষয়ে নজরদারি ও সচেতনতা প্রয়োজন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়