শিরোনাম

প্রকাশিত : ০২ আগস্ট, ২০২২, ০১:২০ দুপুর
আপডেট : ০২ আগস্ট, ২০২২, ০৬:১৫ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

নদীতে ভেসে উঠছে মরা মাছ, আলো জ্বালিয়ে ধরছেন স্থানীয়রা

নদীতে ভেসে উঠছে মরা মাছ

হ্যাপী আক্তার: চুয়াডাঙ্গার ঐতিহ্যবাহী নদী মাথাভাঙ্গা। নদীটিতে প্রচুর পরিমাণে মরা মাছ ভেসে ওঠার খবর ছড়াতে থাকে সন্ধ্যার পর থেকে। ভেসে ওঠা মাছ দেখতে নদীর দুই তীরে ভিড় জমায় উৎসুক জনতা।

সোমবার (১ আগস্ট) দুপুর থেকে পরিমাণে কম মরা মাছ নদীর পানিতে ভাসতে থাকলেও সন্ধ্যার পর থেকে বেশ কয়েকটি স্পটে বেশি দেখা যায়। 

নারী পুরুষ, শিশু কিশোরসহ সব বয়সী মানুষ ভেসে ওঠা মাছ ধরতে নদীতে নেমে পড়েন। হাত বাড়ালেই পাওয়া যায় মাছ। বাড়তে থাকে মানুষের আরও ভিড়। এভাবেই রাতভর চলে মানুষের মাছ ধরা ও ভেসে ওঠা মাছ দেখার নানা আয়োজন। তবে কি কারণে মাছ ভেসে উঠছে, সে প্রশ্নে বিভিন্ন উত্তর মিলেছে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে।

চুয়াডাঙ্গা শহরতলীর দৌলতদিয়ার প্রান্ত, মালোপাড়া, তালতলা প্রান্তের শত শত মানুষ জাল ও মশারি নিয়ে মাছ ধরেন। 

কি কারণে মাছ ভেসে উঠছে এমন প্রশ্নে অনেকেই বলেছেন, বিষক্রিয়ার কারণে এমন হতে পারে। আবার পাট জাগ দেওয়ার জন্যও এমন হতে পারে। এছাড়া অক্সিজেন সংকটে মাছ ওপরে ভেসে ওঠে। আবার প্রাকৃতিক কারণেও এমনটা ঘটতে পারে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার দুপুরের পর থেকে মাথাভাঙ্গা নদীতে মাছ ভেসে উঠেছে এমন খবর ছড়িয়ে পড়ে। অনেকে মাছ ধরার জন্য নদীর দিকে ছুটে যান। বালতি কিংবা গামলা নিয়ে মাছ ধরে নিয়ে আসেন। পুঁটি, ট্যাংরা, তোড়া, বেলে প্রভৃতি দেশীয় প্রজাতির মাছ মরে ভেসে উঠেছিল। কেউ দুই কেজি, কেউ তিন কেজি মাছ নদী থেকে নিয়ে বাড়ির দিকে ফিরে গেছেন। তবে রাত হওয়ায় ঠিকভাবে দেখা যাচ্ছিল না নদীর পানি। পানিতে কিছু থাকলেও বোঝা যায়নি।

মাথাভাঙ্গা নদী বাঁচাও আন্দোলন কমিটির সভাপতি সাবেক অধ্যক্ষ হামিদুল হক মুন্সি বলেন, ‘মাথাভাঙ্গা নদীর পানি নানা কারণে দূষিত হচ্ছে। আমরা বার বার বলছি, মাথাভাঙ্গা নদীকে বাঁচাতে হবে। পৌরসভা শহরের আবর্জনা ফেলে নদীতে। ড্রেনের পানি গিয়ে পড়ছে নদীতে।’ এসময় মাছ মরার বিষয়টি তিনি জেলা প্রশাসনের তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করেন। 

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা রাজিউল ইসলাম বলেন, বিষয়টি শোনার পর নদী পরিদর্শন করা হয়েছে। আর আমি শুনেছি দামুড়হুদা উপজেলাতেও একটি স্পটে এরকম মাছ মারা যাচ্ছে। দামুড়হুদা ব্রিজ থেকে নদীতে দেখা যাচ্ছে, পানির ওপর এক ধরনের কালো স্তর। মঙ্গলবার আরও গভীরভাবে তদন্ত করা হবে।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম বলেন, আমি মৎস্য বিভাগকে বিষয়টি জানিয়েছি। তদন্ত করা হবে।

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)  শামীম ভূইয়া জানান, এটা কোনো সাধারণ ঘটনা নয়। এই মাছ না ধরা কিংবা না খাওয়া ভালো। চুয়াডাঙ্গা সদর, দামুড়হুদা, আলমডাঙ্গায় এই অস্বাভাবিক ঘটনা দেখা যাচ্ছে। এই ঘটনা তদন্তের জন্য সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সূত্র: ইত্তেফাক, বাংলানিউজ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়